পুরো নাম আবুল ফকির জইনুলআবেদিন আবদুল কালাম। আজকের দিনে ১৯৩১ সালে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের ছোট গ্রামে জন্ম। বাবা জইনুলআবেদিন স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন। মা আশিয়াম্মা ছিলেন গৃহবধূ।
স্কুলে সাধারণ মানের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু খুব পরিশ্রমী আর শেখার অদম্য ইচ্ছা ছিল তাঁর মধ্যে।
অঙ্ক ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে ১৯৫৪-তে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন। মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্পেশালাইজ করেন।
দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এলেও সমাজের জন্য কিছু করে যাওয়াই ছিল তাঁর স্বপ্ন।
বিজ্ঞানী হিসাবে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-এ যোগ দেন। ১৯৬৯-এ ইসরো-তে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। ভারতের প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (এসএলভি থ্রি)-প্রোজেক্টের ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। ইসরোতে দু’দশক ধরে লঞ্চ ভেহিকল টেকনোলজি নিয়ে কাজ করার পর ডিআরডিও-তে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড নিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (আইজিএমডিপি)-এর চিফ এগজিকিউটিভ হিসাবে দায়িত্ব নেন।
অগ্নি ও পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রের ডেভেলপমেন্ট ও অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সচিবের সায়েন্টিফিক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
বিজ্ঞান জগতে বিশাল অবদান ও কৃতিত্ব সত্ত্বেও কখনও তা নিয়ে বড়াই করতেন না এই মানুষটি।
২০০২-এ ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। ভারত নিয়ে তাঁর যে স্বপ্ন ছিল তা যুব ও প্রবীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন। প্রযুক্তি দিয়ে সমাজকে বদলে ফেলাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। মানবজাতির কল্যাণে যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায়, যুব সম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করে গিয়েছেন সেই বিষয়ে।