বেঙ্গালুরুতে শ্যালিকাকে বিয়ে করতে নিগ্রহের ছক, ধৃত জামাই

শ্যালিকার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। বিয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে। কিন্তু স্ত্রী আর পরিবারের বাকিরা নিশ্চয় তাতে মত দেবেন না। তাই শ্যালিকার উপরে যৌন নিগ্রহের ছক কষেছিলেন জামাইবাবু। বেঙ্গালুরুর নাগওয়ারা এলাকার একটি যৌন হেনস্থার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এমন কথাই জানতে পেরেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ‘নিগৃহীতা’র জামাইবাবু ইরশাদ খানকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৫৬
Share:

শ্যালিকার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। বিয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে। কিন্তু স্ত্রী আর পরিবারের বাকিরা নিশ্চয় তাতে মত দেবেন না। তাই শ্যালিকার উপরে যৌন নিগ্রহের ছক কষেছিলেন জামাইবাবু। বেঙ্গালুরুর নাগওয়ারা এলাকার একটি যৌন হেনস্থার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এমন কথাই জানতে পেরেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ‘নিগৃহীতা’র জামাইবাবু ইরশাদ খানকে।

Advertisement

হেনস্থার ঘটনাটা ঘটে শুক্রবার। এমনিতেই বর্ষবরণের রাতে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় অবাধ যৌন হয়রানি নিয়ে তোলপাড় চলছে। তার পরপরই শুক্রবার ভোরে নাগওয়ারা এলাকা থেকে এক তরুণীর অভিযোগ পেয়ে নড়ে বসেছিল পুলিশ। পুলিশের কাছে তরুণী জানিয়েছিলেন, তিনি ওই দিন ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ অফিস যাচ্ছিলেন। আরবিক কলেজের কাছে একটি বাস স্টপে এক ব্যক্তি তাঁর উপর চড়াও হয়। তাঁকে মারধর করে, তাঁর জিভ কামড়ে দেয়। তরুণী ভয়ে চিৎকার করে উঠলে সে পালায়। তরুণীর দাবি করেছিলেন, তিনি হাসপাতালে গিয়ে জিভে জখমের চিকিৎসা করিয়েছেন।

এর মধ্যে তরুণীর ভগ্নীপতি ইরশাদও বিষয়টি নিয়ে তৎপর হন। শহরের পুলিশ মহিলাদের নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর নয় বলে অভিযোগ করেন। স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেন। দেখা করেন কিছু পুলিশ কর্তার সঙ্গেও। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে মোড় ঘুরে যায় দু’দিন আগে। কারণ ‘নিগৃহীতা’ হঠাৎ তাঁর বয়ান পাল্টে দাবি করেন— কারও মারধরে নয়, তিনি নিজের জিভ নিজেই কামড়ে জখম করেছেন। ধীরে ধীরে তরুণীর বক্তব্যে আরও বেশ কিছু অসঙ্গতি উঠে আসতে থাকে। তার পর বাসস্টপের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ ইরশাদকেই নিগ্রহকারী বলে চিনতে পারে।

Advertisement

ধরা পড়ার পরে ইরশাদ শ্যালিকার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। বলেন, যৌন নিগ্রহ নিয়ে চারদিকে হইচই দেখেই তাঁর মাথায় ফন্দিটা এসেছিল। তিনি ধরে নিয়েছিলেন, শ্যালিকা ‘নিগৃহীত’ বলে চাউর হয়ে গেলে তাঁর অন্যত্র বিয়ে দেওয়া মুশকিল হবে। তখন শিকে ছিঁড়বে ইরশাদেরই।

ওই তরুণীও কি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত? পুলিশের একটি সূত্রের সে রকমই ধারণা। কিন্তু এখনই এ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন