বিজেপির জয়ে অনৈতিক কৌশল দেখছেন সনিয়া

ভোটার টানতে নৈতিক-অনৈতিক সব ধরনের কৌশল কাজে লাগিয়েছে প্রতিপক্ষ। ক্ষমতা ধরে রাখতে সৌজন্যের সীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে। নির্বাচনে ইউপিএ জোটের ভরাডুবির পরে প্রথম জনসভায় প্রতিপক্ষ বিজেপিকে এ ভাবেই বিঁধেছেন চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৯ ০৪:১৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

ভোটার টানতে নৈতিক-অনৈতিক সব ধরনের কৌশল কাজে লাগিয়েছে প্রতিপক্ষ। ক্ষমতা ধরে রাখতে সৌজন্যের সীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে। নির্বাচনে ইউপিএ জোটের ভরাডুবির পরে প্রথম জনসভায় প্রতিপক্ষ বিজেপিকে এ ভাবেই বিঁধেছেন চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী। এমনকি ইভিএম জালিয়াতির সংশয়ও ঠারেঠোরে জানিয়ে রাখলেন তিনি।

Advertisement

কন্যা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার নিজের কেন্দ্র রায়বরেলীতে গিয়ে ভোটারদের ধন্যবাদ দিয়ে আসেন সনিয়া। পুত্র কংগ্রেস সভাপতি রাহুল বিদেশে থাকায় সঙ্গে ছিলেন না। বিমানে ফুরসতগঞ্জ বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে গাড়ির বহর নিয়ে রায়বরেলীতে ঘুরে তার পরে একটি জনসভা ও একটি কর্মিসভা করেন সনিয়া। উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে রায়বরেলী একমাত্র কেন্দ্র, যেখানে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। তবে মায়াবতী ও অখিলেশ যাদব রায়বরেলীতে কংগ্রেস প্রার্থী সনিয়ার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেননি। জনসভায় কংগ্রেসের সমর্থকদের সঙ্গে তাই এসপি ও বিএসপি-র সমর্থদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন।

নির্বাচনে বিপুল জয়ের জন্য প্রতিপক্ষ বিজেপিকে একেবারেই রেয়াত করেননি সনিয়া। এ জন্য ইভিএম জালিয়াতির আশঙ্কাও এ দিন কৌশলে জানিয়ে রাখলেন তিনি। জনসভায় সনিয়া বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরেই আমাদের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছু সন্দেহ-সংশয়ের জন্ম হচ্ছে। এ বারে তো ভোটারদের আকর্ষণ করতে সব রকমের কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে, তা নৈতিক না অনৈতিক— মানুষই বলবেন।’’

Advertisement

কর্মিসভায় উপস্থিত হাজার আড়াই কর্মীকে সনিয়া কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘আপনারা সারা জীবন পাশে থাকেন বলেই মানুষ এ বারেও কংগ্রেসকে জয়ী করেছেন।’’ তিনি নিয়মিত কেন্দ্রে আসতে পারেন না বলে বিজেপি যে প্রচার করেছে, মানুষ যে তাতে কান দেননি কর্মীদের জন্যই— সে কথাও বলেন। তবে এই কঠিন সময়েও কংগ্রেসের অনেক কর্মী যে নির্বাচনে গা লাগিয়ে কাজ করেননি, প্রিয়ঙ্কা সে কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখানে বক্তৃতা দেব বলে আসিনি। কিন্তু দুটো কথা বলতেই হচ্ছে— রায়বরেলীর মানুষই সনিয়াকে জিতিয়েছেন। যে সব কর্মী আন্তরিক ভাবে কাজ করেছেন, তাঁরা হৃদয় দিয়ে সেটা বুঝেছেন। কিন্তু অনেকে আবার কাজ না করে হাত গুটিয়ে থেকেছেন। তাঁরা কারা, আমি ঠিক খুঁজে বার করব। ছাড় পাবেন না তাঁরা।’’

সনিয়া কর্মীদের এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, এসপি-বিএসপি-র মহাজোট ভেঙে যাওয়ার পরে উত্তপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে নিজেদের জোরেই লড়তে হবে কংগ্রেস কর্মীদের।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement