National News

রাহুলকে সভাপতি পদে চান সনিয়াও

সভাপতির পদ নিয়ে কংগ্রেসে এখন তিনটি শিবির স্পষ্ট।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:২৯
Share:

ছবি: পিটিআই।

আর দু’মাসের মধ্যে রাহুল গাঁধীকে ফের সভাপতি পদে ফেরাতে চাইছেন কংগ্রেসের একাংশ। রাহুল ঘনিষ্ঠ এক নেতা আজ বলেন, ‘‘সনিয়া গাঁধীর শরীর ভাল থাকছে না। তিনি এখন অন্তর্বর্তী সভানেত্রী। মার্চের শেষ কিংবা এপ্রিলের গোড়ায় কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশন ডেকে রাহুলকে সভাপতি পদে বসানো হবে। সনিয়া গাঁধীও এমনটিই চাইছেন।’’

Advertisement

তবে সভাপতির পদ নিয়ে কংগ্রেসে এখন তিনটি শিবির স্পষ্ট। এক দল চান রাহুলকে। প্রবীণদের একটি বড় অংশ চাইছেন, সনিয়াই সভানেত্রী থেকে যান। আর তৃতীয় শিবিরের মত, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে সভানেত্রী করা হোক। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা শিবিরের নেতারাই জানাচ্ছেন, সনিয়া গাঁধী সে প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কাকে রাজ্যসভার সাংসদ করার আর্জি নিয়ে নেতারা তিনবার সনিয়ার কাছে গিয়েছেন। সামনের এপ্রিলে বেশ কয়েক জনকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছে কংগ্রেস। কিন্তু প্রিয়ঙ্কাকে রাজ্যসভায় পাঠানো নিয়ে উৎসাহ দেখাননি সনিয়া।

প্রিয়ঙ্কা ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, ‘‘গত ৪-৫ মাসে সনিয়া গাঁধীর পুত্রমোহ আরও বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে রাহুল সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার পর।’’ কিন্তু প্লেনারি অধিবেশন ডেকে রাহুলকে সভাপতি করার জন্য ফের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না? রাহুল শিবিরের নেতাদের ব্যাখ্যা, সনিয়া পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী নন। যদি তাঁকে সভানেত্রী করতে হয়, সে ক্ষেত্রেও প্লেনারির সিলমোহর বসাতে হবে। আর রাহুল সভাপতি পদে জিতে এসেছিলেন। ফলে নতুন করে নির্বাচনের দরকার নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লিতে এ বারেও শূন্য পেয়ে তরজা শুরু কংগ্রেসে

কিন্তু রাহুলকে সভাপতি করা নিয়ে দলেই দ্বিমত রয়েছে। এ বারে আক্রমণাত্মক রাহুল শিবিরের নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, যাঁরা বিরোধিতা করবেন ভাবছেন, তাঁরা অবসর নিচ্ছেন না কেন? লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের দায়িত্ব নিয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল। বাকিরাও সে পথ ধরতে পারতেন। এখনও কার্যত তিনিই দল চালাচ্ছেন।’’

২ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। রাহুল শিবির এতটাই তৎপর যে এর মধ্যেও প্লেনারি ডাকতে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সম্প্রতি কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা কে সি বেণুগোপাল বলেছিলেন, ‘‘আমরা চাইছি রাহুল গাঁধী সভাপতি হন। কিন্তু তিনি হ্যাঁ করেননি।’’ গত সপ্তাহে এমনও রটে, সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাহুল নিজেই জানিয়েছেন, তিনি সভাপতি হচ্ছেন না। খবর ছড়াতেই রাহুল ব্রিগেড বলতে থাকে, এমন কথা তিনি বলেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement