সনিয়া গাঁধী। — ফাইল চিত্র
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দলে নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক রদবদলের জোরালো দাবি কিছুটা থিতিয়ে এসেছে। ঠিক এই আবহেই সমাধানের লক্ষ্যে শনিবার ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি সনিয়া গাঁধী। এমনটাই জানা গিয়েছে কংগ্রেস সূত্রে। ওই সূত্রের মতে, কংগ্রেস নেতা কমল নাথের মধ্যস্থতাতেই হচ্ছে ওই বৈঠক। এর আগে দলে উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাব এবং বিভিন্ন সাংগঠনিক সমস্যার কথা তুলে ধরে সনিয়াকে চিঠি দেন প্রবীণ এবং নবীন মিলে কংগ্রেসের ২৩ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা।
২৩ জন নেতা চিঠি দিলেও, সকলেই ওই বৈঠকে থাকবেন বলে মনে করছে না রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের ধারণা, ৫ থেকে ৬ জনের একটি কোর গ্রুপ সনিয়ার সঙ্গে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন। তবে তাতে রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা বঢরা থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের মতে, দলের নেতৃত্ব এবং সংগঠন নিয়ে চিঠিতে যাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁদের দাবিগুলিকে সমর্থন করছেন কমল নাথ। তবে তিনি ‘বিদ্রোহী’দের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই চলছেন বলেও সূত্রের খবর।
গত অগস্টেই কপিল সিব্বল, শশী তারুর, গুলাম নবি আজাদ, পৃথ্বীরাজ চৌহান, বিবেক তনখা, আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারি, রাজ বব্বর, অরবিন্দ্র সিংহ লাভলি, সন্দীপ দীক্ষিত-সহ দলের শীর্ষস্থানীয় ২৩ জন কংগ্রেস নেতার সই করা চিঠি সনিয়াকে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। তাতে দলে কাউকে পূর্ণমেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত করার দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি)-কেও ঢেলে সাজার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই চিঠি ‘বোমা’র জেরে প্রকাশ্যে আসে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের ক্ষোভ। তার নিরসনেই এ বার ময়দানে নামলেন সনিয়া।
আরও পড়ুন: রডের বদলে হাতে কৃষকসভার ঝান্ডা, দিল্লি সীমানায় বসে গুজরাত দাঙ্গার ‘মুখ’
আরও পড়ুন: ‘ব্রিটিশের চেয়েও খারাপ হবেন না’, কৃষি আইনের কপি ছিঁড়লেন কেজরী