অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী।
বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের এক জনই প্রার্থী।
লোকসভায় নরেন্দ্র মোদীকে পরাস্ত করতে উত্তরপ্রদেশে এমনই এক সমীকরণ নিয়ে আলোচনা শুরু হল মায়াবতী-অখিলেশ শিবিরের। বিজেপির হাজারো চেষ্টা সত্ত্বেও যে জোটকে এখনও টলাতে পারেননি মোদী-অমিত শাহেরা।
গোরক্ষপুর-ফুলপুরের উপনির্বাচনে মায়ার হাতি অখিলেশের সাইকেলে চেপে পিষে দিয়েছে পদ্মকে। রাজ্যসভায় একটি আসনে জোটের প্রার্থীকে হারিয়ে অবশ্য লাড্ডু খেয়েছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু মায়া-অখিলেশ দু’জনেই বলেছেন, জোট অটুট থাকবে। মায়া শিবিরের মতে, অখিলেশকে মুখ্যমন্ত্রী রেখে দিল্লির কুর্সিতে নজর বহেনজির। তাই এত তৎপরতা।
কিন্তু মোদীকে হারানোর মন্ত্র কী?
আরও পড়ুন: সনিয়ার সঙ্গে মমতার বৈঠক এ বার হচ্ছে না
এক আসনে এক প্রার্থী। অর্থাৎ, যে আসনে বিরোধী শিবিরের যে দলের শক্তি বেশি, প্রার্থী তারই। গত বার বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হতেই বাজি মেরেছিল বিজেপি। ৮০টির মধ্যে ৭০টির বেশি আসন কেড়ে নিয়েছিল। কিন্তু বিরোধীরা একজোট হলে বিজেপির জেতার সুযোগ নেই। যে কারণে অমিত শাহকে এখন বলতে হচ্ছে, সব আসনে ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ার কৌশল নেবেন তিনি।
কী ভাবে ঠিক হবে, কোন আসনে কে প্রার্থী? আপাতত একটি সমীকরণ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। গত লোকসভায় যে দল দ্বিতীয় স্থানে ছিল, প্রার্থী তাদেরই ঝুলিতে যেতে পারে। সেই হিসেবে দেখা যাচ্ছে, মায়ার দল একটি আসন না পেলেও ৩৩টি আসনে দ্বিতীয় ছিল। আর অখিলেশের দল ৫টি জিতে দ্বিতীয় স্থানে ৩২টিতে। কংগ্রেস দু’টিতে জিতে ৬টিতে দ্বিতীয়। ফলে এখন থেকেই আসন ভাগাভাগির কাজটি সারতে চায় বিরোধী জোট।
কিন্তু সপার ভাগে যাবে বেশি আসন, মায়ার কম— মানবেন কী বহেনজি? সপা-র এক নেতা বলেন, ‘‘লোকসভার পর বিধানসভায় বিএসপি-র ভোটের হার বড়লেও সপা-র কমেছে। কিছু আমাদের ছাড়তে হবে, কিছু তাদেরও। তবেই তো জোট হবে।’’