ফের নারদ-কাণ্ডে উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ। মঙ্গলবারের মতো বুধবারও লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাতেও নারদ নিউজ পোর্টালের স্টিং অপারেশন নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস এবং বাম সাংসদরা। লোকসভায় বিরোধীদের প্রবল চাপে শেষমেশ বিষয়টি এথিক্স কমিটির কাছে পাঠান স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ওই কমিটির চেয়ারম্যান প্রবীণ বিজেপি সাংসদ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। তবে নির্বাচনের আগে ওই ভিডিও আদৌ খতিয়ে দেখবে কি না কমিটি তার কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।
বিষয়টি এথিক্স কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। নারদের ওই স্টিং অপারেশনে সৌগতবাবুকেও হাতে লক্ষাধিক টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তিনি জানান, এটা এক তরফা এবং নজির বিহীন সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে স্পিকারের কাছে রিভিউ পিটিশন জানানো হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
এ দিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যসভাতেও সরব হয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদরা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ এ দিন সংসদে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তোলেন, সরকার কেন এই স্টিং অপারেশন নিয়ে কোনও কথা বলছে না? পাশাপাশি তিনি যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘মোদী সরকার কেন তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে না? তবে কি বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে ম্যাচ ফিক্সিং হয়ে গিয়েছে?’’ এর পরেই সিপিএম সাংসদরা ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বামেরা যখন ওই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সেই সময়ে নারদ-কাণ্ডে দুবাই যোগের প্রসঙ্গ তোলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। নারদ নিউজের ওই ভিডিও প্রকাশের সময় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ডেরেকের কথায়, ‘‘রাজ্যে নির্বাচন শুরুর আগে যে ভাবে ওই ভিডিও উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে এটা একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।’’ এই ঘটনায় বিদেশ মন্ত্রকের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।