আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে পদপিষ্ট মুম্বইয়ের এলফিনস্টোন স্টেশনে। এই সেই ফুট ওভার ব্রিজ।— ফাইল ছবি।
মুম্বইয়ের এলফিনস্টোন স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ২২ জনের। আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৩৬ জন। এঁদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: দিল্লি-কাবুল বাণিজ্য মেলা, চাপে পাকিস্তান
শুক্রবার সকাল তখন সাড়ে ৯টা। এলফিনস্টোন স্টেশনে প্রতি দিনের মতোই যাত্রীদের ভিড়ে ঠাসা ছিল। পাশাপাশি এ দিন প্রবল বৃষ্টি চলছিল। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে বহু যাত্রী স্টেশনের ফুট ওভার ব্রিজে আশ্রয় নেন। ব্রিজের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত থিক থিক করছিল ভিড়। সেই সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পিছনে বেশ কয়েকটি তথ্য উঠে এসেছে। হঠাত্ই নাকি গুজব ছড়ায় ব্রিজের পাশে টিকিট কাউন্টারে শর্ট সার্কিট হয়েছে। আবার যাত্রীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, ব্রিজ ভেঙে পড়ছে, এ রকমও একটা গুজব ছড়ায়। ফলে ভিড়ে ঠাসা ব্রিজের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিজেদের বাঁচাতে সবাই দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। ব্রিজটি সরু হওয়ায় বিপত্তি আরও বাড়ে। এক রেলযাত্রী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার ঠিক আগেই চারটে ট্রেন এক সঙ্গে স্টেশনে ঢোকে। ফলে ভিড় বাড়ে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।
আরও পড়ুন: মায়ানমার সীমান্তে অভিযান, ধ্বংস একাধিক জঙ্গি ক্যাম্প
তবে আসল কারণ কী সে বিষয় স্পষ্ট নয় বলে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে। রেলের মুখপাত্র অনিল সাক্সেনা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে অনেক মানুষ অপেক্ষা করছিলেন। সরু ব্রিজের মধ্যে এক সঙ্গে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। ট্রেন ধরার জন্য তাড়াহুড়ো করতেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।
মহারাষ্টের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, “এই দুর্ঘটনার যৌথ তদন্ত করবে রেল মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকার।” মৃতদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, রেলমন্ত্রী পীষূষ গয়ালকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।