মধ্যপ্রদেশের স্কুলের এই বারান্দা থেকেই নীচে ঝাঁপ দিয়েছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ছবি: এক্স।
নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিল ছাত্র। প্রধানশিক্ষকের ঘরে গিয়ে ক্ষমাও চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর কথায় কান দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বড়সড় শাস্তির ভয়ে তাই কুঁকড়ে গিয়েছিল ছাত্র। কিছু ক্ষণের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। স্কুলের চার তলার বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপ দেয় সে। এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বছর ১৩-র কিশোর।
মধ্যপ্রদেশের রতলাম জেলার একটি স্কুলের ঘটনা। কিশোর সেখানকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং স্কেটিং খেলোয়াড়। স্কেটিংয়ে জাতীয় স্তরে সাফল্যও পেয়েছে সে। অভিযোগ, সম্প্রতি ওই ছাত্র এক দিন স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছিল। শ্রেণিকক্ষের একটি ভিডিয়ো করে তা সমাজমাধ্যমে আপলোড করে দেয়। তা স্কুল কর্তৃপক্ষের চোখে পড়লে ছাত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেন তাঁরা। কারণ, স্কুলে মোবাইল নিয়ে যাওয়া নিয়মবিরুদ্ধ।
ছাত্রের অপরাধের কথা জানাতে স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তার বাবাকেও। তবে প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে বাবার সাক্ষাতের আগেই কিশোর নিজে প্রধানশিক্ষকের ঘরে ঢোকে। স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সে চার মিনিট ঘরের ভিতরে ছিল। কৃতকর্মের জন্য বার বার ক্ষমা চেয়েছে। ‘সরি’ বলেছে। কিন্তু প্রধানশিক্ষক তাকে ক্ষমা করেননি। উল্টে তার সব মেডেল কেড়ে নিয়ে ‘কেরিয়ার’ শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এর পরেই কাঁদতে কাঁদতে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল কিশোর। আচমকা সে স্কুলের বারান্দা ধরে ছুটতে শুরু করে। তার পর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝাঁপ দেয় বারান্দা থেকে। নীচে তাঁর বাবা বসে ছিলেন।
দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশও। তারা গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।