সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই। সম্প্রতি তাঁর এজলাসেই এক আইনজীবীর কাণ্ডে শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। —ফাইল চিত্র।
দেশের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের দিকে ‘জুতো’ ছোড়ার চেষ্টা করা সেই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে পদক্ষেপে সায় রয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমণের। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানালেন সলিসিটর জেনারল তুষার মেহতা এবং শীর্ষ আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বিকাশ সিংহ। গত ৬ অক্টোবর রাকেশ কিশোর নামে এক আইনজীবী প্রধান বিচারপতির দিকে ‘জুতো’ ছোড়ার চেষ্টা করেন। প্রধান বিচারপতি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি মাথা থেকে বার করে দিতে চান। তবে রাকেশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহল।
মেহতা এবং সিংহ উভয়েই চাইছেন ‘জুতো’ ছোড়ার চেষ্টা করা ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হোক। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে সেই আর্জিই জানান তাঁরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য করা হচ্ছে বলেও আদালতে জানান তাঁরা। মেহতা এবং সিংহ সুপ্রিম কোর্টে অনুরোধ করেন, যাতে সমাজমাধ্যমে এই ধরনের মন্তব্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছে, বাক্স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের নামে অন্যের মর্যাদাহানি করা যায় না।
সমাজমাধ্যমের ‘অনিয়ন্ত্রিত’ প্রকৃতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এখনই আদালত অবমাননার মামলা শুনতে রাজি নয় শীর্ষ আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “দেখা যাক এক সপ্তাহ পরেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার মতো কিছু থাকে কি না।”
গত ৬ অক্টোবর ওই ঘটনার সময়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন। ঘটনার তিন দিন পরে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, “যা ঘটেছে, তাতে আমরা (প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি চন্দ্রন) চমকে গিয়েছিলাম। তবে এখন আমরা তা মাথা থেকে বার করে দিয়েছি।” তবে ওই সময় বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ান বলেছিলেন, “এ বিষয়ে আমার নিজস্ব মতামত রয়েছে। তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি। এটা কোনও তামাশার বিষয় নয়।” তাঁর মতে, ওই আক্রমণের ঘটনা সুপ্রিম কোর্টের প্রতি অবমাননাকর। এর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করা উচিত ছিল বলে জানান তিনি।