Reservation in Maharashtra

সংরক্ষণকে ট্রেনের কামরার সঙ্গে তুলনা সুপ্রিম কোর্টের: কেউ উঠে গেলে অন্যকে উঠতে দিতে চান না

মহারাষ্ট্রের স্থানীয় নির্বাচনে সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই শুনানির সময়েই দেশের সংরক্ষণ ব্যবস্থার সঙ্গে ট্রেনের কামরার তুলনা টানেন বিচারপতি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৫ ১৫:৪০
Share:

মহারাষ্ট্রের স্থানীয় নির্বাচনে সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দেশের সংরক্ষণ ব্যবস্থার সঙ্গে ট্রেনের কামরার তুলনা টানল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সংরক্ষণ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত মৌখিক ভাবে এই তুলনা টানে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ অনুসারে, বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, “বিষয়টি হল, এ দেশে সংরক্ষণ ব্যবস্থাটি ট্রেনের মতো হয়ে গিয়েছে। যাঁরা এক বার কামরায় উঠে যান, তাঁরা আর অন্য কাউকে উঠতে দিতে চান না।”

Advertisement

মহারাষ্ট্রের স্থানীয় নির্বাচনে (পুর এবং পঞ্চায়েত ভোট) অন্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণের বক্তব্য, মহারাষ্ট্রের বান্তিয়া কমিশন স্থানীয় নির্বাচনের জন্য ওবিসি সংরক্ষণের কথা বলার সময় তারা রাজনৈতিক ভাবেও অনগ্রসর শ্রেণি কি না, তা নিশ্চিত করেনি। মামলাকারীর বক্তব্য, রাজনৈতিক ভাবে অনগ্রসরকে সামাজিক বা শিক্ষাগত দিক থেকে অনগ্রসরের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যায় না। ওবিসি মানেই তিনি রাজনৈতিক ভাবেও অনগ্রসর, এমন বলা যায় না বলে দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর। মামলার শুনানির ওই পর্যায়েই বিচারপতি সূর্য কান্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থার সঙ্গে ট্রেনের কামরার তুলনা টানেন। তিনি আরও বলেন, “এখন (ট্রেনের) শেষাংশে আরও কামরা যুক্ত করা হচ্ছে।”

বস্তুত, ২০২২ সাল থেকে মহারাষ্ট্রের স্থানীয় নির্বাচন আটকে রয়েছে সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইনি জটিলতার কারণে। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০২২ সালে বান্তিয়া কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ার আগে মহারাষ্ট্রে সংরক্ষণ সংক্রান্ত যে আইন ছিল, সেই আইন অনুসারেই নির্বাচন করাতে হবে। আগামী চার মাসের মধ্যে সে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে স্থানীয় নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হলে কমিশন আদালতের কাছে আবেদন জানাতে পারবে বলেও জানিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement