এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের মামলায় দেশের বিভিন্ন আদালতের নির্দেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের কোনও নির্দেশ বা মন্তব্যে অনেক সময়ে নির্যাতিতাদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে বলে মনে করছে শীর্ষ আদালত। দেশের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের বিরূপ প্রভাব কখনও কখনও নির্যাতিতাদের মামলা প্রত্যাহারের জন্যও চাপের মুখে ফেলতে পারে। আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করে হাই কোর্টগুলির জন্য একটি গাইডলাইন স্থির করে দেওয়ার কথা ভাবছে শীর্ষ আদালত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কান্তের বেঞ্চে এক যৌন নিগ্রহের মামলার শুনানি ছিল। মামলাটি আগে ছিল এলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেই সময়ে হাই কোর্টের একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাধে। হাই কোর্ট জানিয়েছিল, নাবালিকার স্তন স্পর্শ করা একটি অপকর্ম হিসাবে বিবেচিত হয়। পায়জামার দড়ি খুলে দেওয়ার মতো ঘটনা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয় বলেও জানিয়েছিল হাই কোর্ট। পরে মামলাটি আসে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই আদালতগুলিকে আরও সংবেদনশীল হওয়ার বার্তা দেয় শীর্ষ আদালত।
দেশের প্রধান বিচারপতি কান্তের মন্তব্য, এই ধরনের অন্য ঘটনাগুলির বিবরণ পাওয়া গেলে সুপ্রিম কোর্ট একটি বিস্তারিত গাইডলাইন তৈরি করতে পারে। এই গাইডলাইনগুলি নিম্ন আদালত এবং হাই কোর্টগুলিকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের মামলায় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনে সাহায্য করতে পারে।
বস্তুত, উত্তরপ্রদেশের ওই ঘটনায় এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশের পরে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের অন্য হাই কোর্টগুলিতেও অনুরূপ কোনও নির্দেশনামা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল কি না, সে বিষয়েও তথ্যতলব করে শীর্ষ আদালত। সোমবারের শুনানিতে আরও বেশ কিছু হাই কোর্টের কিছু মন্তব্যের কথা তুলে ধরেন আইনজীবীরা। তাতে প্রধান বিচারপতি কান্ত বলেন, “আপনারা যদি এই ধরনের সকল উদাহরণ আমাদের কাছে তুলে ধরেন, তা হলে আমরা একটি বিস্তারিত গাইডলাইন জারি করতে পারি।” শীর্ষ আদালত এ-ও জানিয়েছে, এমন কোনও মন্তব্য বা পদ্ধতি থাকা উচিত নয় যা ভুক্তভোগীদের ভয় দেখায় বা তাঁদের অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে।