ইন্ডিগোর বিমান। — ফাইল চিত্র।
ইন্ডিগোর পরিষেবায় বিভ্রাট নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি ওই সংস্থার শত শত উড়ান বাতিল হয়েছে। ওই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপের আর্জিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সোমবার ওই মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মামলাকারী চাইলে দিল্লি হাই কোর্টে নিজের অভিযোগ জানাতে পারেন।
ইন্ডিগোর সাম্প্রতিক পরিষেবা বিভ্রাট নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে আগে থেকেই একটি মামলা চলছে। এ অবস্থায় জনস্বার্থ মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, একই বিষয়ে দিল্লি হাই কোর্টেও একটি জনস্বার্থ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তবে আদালত জানিয়েছে, দিল্লি হাই কোর্টে তাঁর অভিযোগ শোনা না-হলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন।
মামলাকারী নরেন্দ্র মিশ্রের দাবি, সংস্থার এতগুলি উড়ান বাতিল হওয়ার জন্য যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক, তা মেনে নেন প্রধান বিচারপতি কান্তও। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু হাই কোর্ট মামলাটি দেখছে। সেটি একটি সাংবিধানিক আদালত। সেখানে যদি আপনার অভিযোগ না শোনা হয়, তা হলে আপনি এখানে (সুপ্রিম কোর্টে) আসতে পারেন।”
গত বুধবারই দিল্লি হাই কোর্টে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে ইন্ডিগো বিপর্যয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ইন্ডিগোর একের পর এক উড়ান বাতিলকে ‘সঙ্কট’ বলেও উল্লেখ করে আদালত। কেন্দ্রের উদ্দেশে হাই কোর্ট প্রশ্ন করেছিল, ‘‘যদিও কোনও সঙ্কট দেখা দেয়, তা হলে অন্য বিমানসংস্থাগুলিকে কী ভাবে সুবিধা নেওয়ার অনুমতি দিতে পারে? কী ভাবে বিমানভাড়া ৩৫-৪০ হাজার পর্যন্ত বাড়তে পারে? কী এমন ঘটতে পারে?’’
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডিগোর একের পর এক উড়ান বাতিল হয়েছে। আগের তুলনায় গত কয়েক দিনে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে জট পুরোপুরি কাটেনি। কী কারণে এই বিভ্রাট ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে ভারতের অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকেও। বিতর্কের মুখে ইন্ডিগোও পৃথক ভাবে এক মার্কিন সংস্থাকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।