100 Days Work

১০০ দিনের কাজ ১২৫ দিনের হচ্ছে, গান্ধীকে সরিয়ে নয়া নাম ‘জিরামজি’, সোমবারই বিল পেশ হয়ে যেতে পারে লোকসভায়

প্রকল্প থেকে কেন গান্ধীর নাম সরানো হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেন, “কেন মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে ফেলা হচ্ছে? মহাত্মা গান্ধী কেবল দেশের মান্য নেতা নন, গোটা বিশ্বেই তাঁকে সম্মান করা হয়।”

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:০১
Share:

১০০ দিনের কাজ প্রকল্প থেকে সরছে মহাত্মা গান্ধীর নাম! —ফাইল চিত্র।

দেশে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে নতুন আইন আনতে চাইছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে সোমবারই একটি বিল পেশ করা হতে পারে লোকসভায়। ওই বিলে ১০০ দিনের কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে তা ১২৫ দিন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চমক রয়েছে নামেও। এত দিন এই প্রকল্পের নাম ছিল মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপাওয়ারমেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট, ২০০৫ (সংক্ষেপে মনরেগা)। বিলে এই প্রকল্পের নতুন নাম হয়েছে বিকশিত ভারত- গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ)। সংক্ষেপে ‘জিরামজি’।

Advertisement

এই বিল সোমবার লোকসভার কার্যসূচির অতিরিক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের তরফে সাংসদদের কাছে বিলের যে কপি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা আছে যে, ২০৪৭ সাল পর্যন্ত দেশে উন্নয়নের রূপরেখা ‘বিকশিত ভারত’-এর সঙ্গতি রেখেই এই গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এ-ও বলা হয়েছে যে, গ্রামীণ ভারতের সমৃদ্ধির জন্য গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সাবালক স্বেচ্ছাসেবককে এই কাজে নিযুক্ত করা হবে। প্রতিটি অর্থবর্ষে ১২৫ দিনের কাজ পাবেন প্রত্যেকে।

প্রকল্প থেকে কেন গান্ধীর নাম সরানো হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই প্রসঙ্গে বলেন, “কেন মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে ফেলা হচ্ছে? মহাত্মা গান্ধী কেবল দেশের মান্য নেতা নন, গোটা বিশ্বেই তাঁকে সম্মান করা হয়।” রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বিষয়টিকে ‘মহাত্মা গান্ধীর অপমান’ বলে অভিহিত করেন। মাঝে কেন্দ্রের একাধিক সূত্র মারফত শোনা গিয়েছিল, প্রকল্পের নতুন নাম হতে পারে পূজ্য বাপু গ্রামীণ রোজগার যোজনা। সে ক্ষেত্রে নাম বদলালেও প্রকল্পের সঙ্গে জুড়ে থাকতেন গান্ধী। কিন্তু প্রস্তাবিত বিলে সেই নাম নেই। বিষয়টি নিয়ে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে ঝড় উঠতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement