Kumbh Mela Stampede

কুম্ভ-পদপিষ্টকাণ্ডে মামলা গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট! ‘হাই কোর্টের কাছে যান’, পরামর্শ প্রধান বিচারপতির

গত ২৯ জানুয়ারি কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন এক আইনজীবী। তাঁকে হাই কোর্টে আবেদনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩০
Share:

কুম্ভে পদপিষ্ট সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক এবং উদ্বেগের বলে মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ। তবে এই মামলাটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বদলে হাই কোর্টে যাওয়া উচিত বলে জানান প্রধান বিচারপতি। মামলাকারীকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে এ বিষয়ে আবেদন জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

Advertisement

গত ২৯ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে কুম্ভমেলায় যাওয়া পুণ্যার্থীদের জন্য সুরক্ষাবিধি এবং নির্দেশিকা বেঁধে দেওয়ার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। সোমবার মামলাটি প্রধান বিচারপতি খন্না এবং বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে উঠলে তারা সেটি গ্রহণ করেনি।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে সোমবার এজলাসে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। তিনি জানান, পদপিষ্টের ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন হয়েছে। সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলাকারীকে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেয়।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা শুরুর কয়েক মাস আগে থেকেই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং তাঁর সরকারের মন্ত্রী ও আধিকারিকেরা দাবি করছিলেন, প্রয়াগরাজে প্রবল ভিড়ে পদপিষ্টের আশঙ্কা এড়াতে কোটি কোটি পুণ্যার্থীর জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহে মঙ্গলবার গভীর রাত এবং বুধবার ভোরে মৌনী অমাবস্যার ‘শাহি স্নানে’র শুরুতেই প্রকাশ্যে চলে আসে প্রশাসনিক ব্যর্থতার ছবি। মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে যোগী সরকারের পুলিশ, র‌্যাফের পাশাপাশি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ-ও।

জনস্বার্থ মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, সরকারি গাফিলতির কারণেই মঙ্গলবার গভীর রাতে ত্রিবেণী সঙ্গমে ৩০ জনের মৃত্যু এবং অন্তত ৬০ জনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানান তিনি। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ারও আর্জি জানান মামলাকারী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement