তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে শুধু স্বস্তিই পেলেন না প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দয়ানিধি মারান, এই মামলার সূত্রে সিবিআইকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করল সর্বোচ্চ আদালত।
প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ টেলিফোনের লাইন লাগিয়েছিলেন তিনি। সেগুলিকে নিজের টিভি চ্যানেল চালানোর জন্য কাজে লাগিয়েছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে চলা সেই মামলায় মারানের জামিনের আর্জি সদ্য খারিজ করে দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালত এ দিন হাইকোর্টের রায়ের উপরে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সিবিআইকে বলেছে, ‘‘মারান যে কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, তাতে সরকারের ১ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করতে আপনারা তৎপর। কিন্তু স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ৮ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে, অথচ আপনারা কাউকে ধরতে পারেননি এখনও। কেন?’’ সিবিআইকে আগে ‘খাঁচার তোতা’ বলে উল্লেখ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে— এই
ইঙ্গিত তখনও দিয়েছিল তারা। এ দিনের মন্তব্যে আরও এক বার সেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।