সোনম ওয়াংচুক। — ফাইল চিত্র।
লাদাখে বিক্ষোভের ঘটনায় জেলবন্দি ইঞ্জিনিয়র, গবেষক তথা সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুকের মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে বন্দি প্রত্যক্ষীকরণ মামলা (হেবিয়াস কর্পাস) আবেদন করেছেন তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি আংমো। সোনমের গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলেও দাবি করেছেন তিনি। গীতাঞ্জলির আর্জি অনুযায়ী, আগামী ৬ অক্টোবর (সোমবার) শীর্ষ আদালতে বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
সোনমের গ্রেফতারের পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর কবীন্দ্র গুপ্তকে চিঠি লেখেন তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি। স্বামীর অবিলম্বে মুক্তির আর্জি জানান গীতাঞ্জলি। চিঠিতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘জনগণের স্বার্থকে সমর্থন করা কি পাপ?’ সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘সোনম ওয়াংচুকের মুক্তি চেয়ে আমি সুপ্রিম কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস আবেদন করেছি। আজ এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে। তবুও আমার কাছে ওয়াংচুকের স্বাস্থ্য, তাঁর অবস্থা বা আটকের কারণ সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই।’
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওয়াংচুককে গ্রেফতার করা হয়। ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় আমির খানের ‘র্যাঞ্চো’ চরিত্রটি বানানো হয়েছিল তাঁরই আদলে। অনেকের তাঁকে বাস্তবের ‘র্যাঞ্চো’ বলেও ডাকেন। ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন জানিয়েছে। লাদাখ পুলিশের ডিজি এসডি সিংহ জামওয়ালের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী দুপুর আড়াইটায় ওয়াংচুককে তাঁর লেহর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল। পরে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজস্থানের জোধপুরের এক জেলে। কী কারণে তাঁকে লাদাখের বাইরে একটি জেলে রাখা হয়েছে, তার কোনও ব্যাখ্যা প্রশাসনের তরফে মেলেনি। তবে সরকারি সূত্রের খবর, নিরাপত্তাজনিত কারণে লেহর জেলে না রেখে তাঁকে রাজস্থানের জেলে পাঠানো হয়েছে।