Diwali 2023

অদূরেই পাখিরালয়, দীপাবলিতে একটিও বাজি ফাটালেন না গ্রামবাসীরা, পাছে ওদের কষ্ট হয়!

পাখিরালয়ে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে গ্রামের বাসিন্দারা সম্মিলিত ভাবে সিদ্ধান্ত নেন, এ বারের দীপাবলি হবে ‘নীরব’। কোনও বাজি ফাটানো হবে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৩
Share:

পরিযায়ী পাখির ঝাঁক। —ফাইল চিত্র।

দীপাবলিতে দেশ জুড়ে যখন শব্দবাজির তাণ্ডব চলল, তখন তামিলনাড়ুর সাত-সাতটি গ্রাম রইল নীরব। সেখানকার বাসিন্দারা কেউ বাজি ফাটালেন না। উৎসবের উদ্‌যাপনের জন্য কোনও বাড়তি শব্দ করলেন না। আলোর উৎসবকে তারা বরণ করে নিলেন শুধু আলো দিয়েই।

Advertisement

তামিলনাড়ুর ইরোড থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে রয়েছে ভাডামুঙ্গম ভেল্লোডে পাখিরালয়। অক্টোবর থেকে সেখানে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত থাকে সেই ‘অতিথি’রা। এই পাখিদের কথা মাথায় রেখেই এ বার দীপাবলিতে বাজি ফাটাননি গ্রামবাসীরা। ইরোডের মোট সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা সম্মিলিত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই গ্রামগুলিতে কেবল আলো, প্রদীপ দিয়ে দীপাবলি পালন করা হয়েছে।

ইরোডের সেল্লাপ্পামপালায়ম, ভাডামুঙ্গম ভেল্লোডে, সেম্মানদমপালয়ম, কারুক্কানকাট্টু ভালাসু, পুঙ্গমপড়ির মতো গ্রামগুলি ‘নীরব দীপাবলি’ পালন করেছে। গ্রামগুলিতে প্রায় ৯০০ পরিবারের বাস। পাখিরালয় এবং পরিযায়ী পাখিদের কথা মাথায় রেখে তাঁরা বাজি না ফাটানোর সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement

তামিলনাড়ুর এই সাতটি গ্রামে দীপাবলি বরাবরই কিছুটা ভিন্ন। এখানকার মানুষ একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সম্মিলিত ভাবে দীপাবলি উদ্‌যাপন করে থাকেন। শব্দবাজির তেমন বাহুল্যও থাকে না কোনও বারেই। সাধারণ তারাবাতির জৌলুসে খুশি এই সব গ্রামের শিশুরা। এ বছরের উৎসব পরিযায়ী পাখিদের মরশুমের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। তাই একেবারেই বাজি ফাটানো হয়নি। পাখিরালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই দীপাবলিতে তাঁদের পাখিদের কোনও ক্ষতি হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন