এক দিকে রাষ্ট্রপতির ইনোভেশন ক্লাব, অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রীর স্টার্ট আপস। দুটোকে একসঙ্গে জুড়ে তিনদিনের জাতীয় পর্যায়ের আলোচনা চক্রের আয়োজন করল শিলচর এনআইটি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেড়শো উদ্ভাবক নিজেদের প্রকল্প নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন শিলচরে। বিশাল এসএসি বিল্ডিঙে তাঁদের প্রকল্পের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা হয়েছে। তরুণ টেকনোক্র্যাট আর গ্রামীণ উদ্ভাবক মিলেমিশে একাকার।
শিলচর এনআইটি-র ডিরেক্টর এন ভি দেশপাণ্ডের কথায়, ‘‘এটাই আমরা চেয়েছিলাম। এটাই চান আমাদের রাষ্ট্রনায়করা। উদ্ভাবন শুধু প্রযুক্তিতে আটকে থাকবে না। বরং তৃণমূলস্তরের উদ্ভাবকদের খুঁজে বের করে তাতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান যোগ করা গেলে উভয়পক্ষের লাভ। লাভ দেশ এবং দেশবাসীরও।’’ তিনি জানান, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অধিকতর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দেশে ১৩টি স্টার্ট আপস সেন্টার চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিলচর এনআইটি-ও। এ ছাড়া, রাষ্ট্রপতির ইনোভেশন ক্লাবেরও সদস্য এই প্রতিষ্ঠান। বছরে একবার সভা হয় রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে প্রতিটি ক্লাবকে বিগত দিনের রিপোর্ট ও আগামী দিনের প্রোজেক্ট রিপোর্ট পেশ করতে হয়।
দুই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কাছাড়ের জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রোবেশনারি) অভিজিত্ গৌরব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন উইমেন অন্ত্রেপ্রেনর ফোরামের অধিকর্তা ইন্দিরা ওইনাম, পার্থজিত্ রায়, এ কে বড়ভুইয়া, এম আলি আহমদও। সেমিনারের প্রধান ওয়াসিম আরিফ জানান, অসম ছাড়াও মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা ও দিল্লি থেকে প্রতিনিধিরা এসেছেন। হাই-টেকের পাশাপাশি রাখা হয়েছে কৃষি-উপকরণ, হস্তশিল্প সামগ্রীও। আমিনউদ্দিন আহমেদের হাই-ভোল্টেজ প্রোটেকশনের পাশেই রয়েছে বদরপুর সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ভাবনায় তৈরি দুটো ছোট প্রকল্প। পুলক দত্ত এনেছেন খড়ের চিত্রকলা। তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মায়ের কাছ নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদ গ্রহণের সেই ছবি। চন্দ্র সায়েন্টিফিক রিসার্চ সেন্টার নিয়ে এসেছে তাদের চন্দ্র মাইক্রোস্কোপ স্লাইড প্রোজেক্টর। ডঃ বিবেক মাতে দেখাচ্ছেন, কী ভাবে ঘরেই ‘আর্সেনিক রিমুভাল প্ল্যান্ট’ তৈরি করা যায়।
সবাইকে নিয়েই তিনদিন ধরে আলোচনায় অংশ নেবেন সতীনাথ চট্টোপাধ্যায়, সৌম্যজিত্ গুহ, সৌরভ কীর্তনি, শুভাশিস ভৌমিক, বিকল্প সাহনি, অসীম সুরি, সুনন্দন বরুয়া, নিখিলেশ দাস, নিশা বরা, রোশন ফারহান ও অমিত মিশ্র।