Crime

মেলা দেখে মন্দির যাওয়ার পথে গণধর্ষণ, আতঙ্কে নগ্ন অবস্থায় দৌড় কিশোরীর

নির্যাতিতা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বলে দাবি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:১২
Share:

—্প্রতীকী চিত্র।

মেলা দেখে ফেরার পথে রাজস্থানে নারকীয় অত্যাচারের শিকার হতে হল ১৫ বছরের এক কিশোরীকে। মত্ত অবস্থায় তিন দুষ্কৃতী মিলে তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নৃশংস শারীরিক অত্যাচারও চালায় ওই দুষ্কৃতীরা। ঘটনার অভিঘাতে এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ওই কিশোরী, যে নগ্ন অবস্থায় উদভ্রান্তের মতো দৌড়তে শুরু করে। কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছে ওই কিশোরী। অভিযুক্ত তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় রাজস্থানের ভিলওয়ারায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। খুড়তুতো বোন ও এক বন্ধুর সঙ্গে মেলা দেখতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। ফেরার সময় এক মন্দিরের পথে পা বাড়িয়েছিল তারা। সেইসময় মদ্যপানরত তিন দুষ্কৃতীর কবলে পড়ে তারা। খুড়তুতো বোন এবং বন্ধু দুষ্কৃতীদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে গেলেও, নির্যাতিতা ওই কিশোরী পারেনি।এর পর নির্জন জায়গায় দুষ্কৃতীরা তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।মারধরও করা হয় তাকে।

অন্য দিকে, দুষ্কৃতীদের হাত ছাড়িয়ে কিছু দূর এগিয়ে একটি বাজারের মধ্যে ঢুকে নির্যাতিতার খুড়তুতো বোনটি। বাজারের লোকজনকে সব কিছু জানায় সে। চাঁদ খান রংরেজ নামের এক দোকানদারের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। মেয়েটির সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন চাঁদ খান। তাঁকে দেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু এই ঘটনায় এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল নির্যাতিতা ওই কিশোরী, যে কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এসেছে বুঝতেও পারেনি সে। তাই চাঁদ খানকে দেখে ভয় পেয়ে যায় সে। নগ্ন অবস্থাতেই রাস্তার উপর দিয়ে দৌড়তে শুরু করে সে। বেশ কিছু দূর এসে তাকে ধরে ফেলেন ওই চাঁদ খান। ওই কিশোরীর জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেন এবং তিনি পুলিশে খবর দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: গুরুগ্রামে সাত বছরের শিশুর সামনেই বাবা-মাকে কুপিয়ে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত​

আরও পড়ুন: প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত নীরব মোদীর ভাই নেহালের বিরুদ্ধে এ বার রেড কর্নার নোটিস

নির্যাতিতা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বলে দাবি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ভিলওয়ারার সিনিয়র পুলিশ অফিসার হরেন্দ্র মাহওয়ার বলেন, ‘‘রাস্তার ধারে মদ্যপান করছিল ওই তিন দুষ্কৃতী। বাকিরা পালিয়ে গেলেও মেয়েটি পারেনি। অপহরণ করে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা।’’ নির্যাতিতার বয়ানের উপর ভিত্তি করে রাজু কাহার, কৈলাস কাহার এবং নারায়ণ গুর্জর নামের তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও শিশু সুরক্ষা (পকসো) এবং সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে নৃংশংসতা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটির হাতের চুড়ির ভাঙা টুকরো, মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ডেপুটি সুপার ভরত সিংহ।ঘটনাস্থলে রক্তের দাগও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন