(বাঁ দিকে) তেজপ্রতাপ যাদব এবং অনুষ্কা যাদব (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
তাঁর সঙ্গে ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই পরিবার এবং আরজেডি থেকে বিতাড়িত হন তেজপ্রতাপ যাদব। সোমবার সেই অনুষ্কা যাদবের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তিনি। পাঁচ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে কাটিয়ে বার হন তেজ। কেন অনুষ্কার বাড়িতে এসেছেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে, তাই এসেছি।’’ তবে অনুষ্কার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নিয়ে মুখে কুলুব আঁটেন তেজপ্রতাপ।
অনুষ্কার সঙ্গে ছবি ভাইরাল হওয়ার পরেই তেজপ্রতাপকে দল থেকে বহিষ্কার করেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। শুধু দল নয়, পরিবার থেকেও জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপকে বিতাড়িত করেন তিনি। তার পরে প্রায় মাস খানেকের বেশি অন্তরালেই ছিলেন তেজ। সোমবার তাঁকে দেখা যায় অনুষ্কার বাড়িতে যেতে। এই বিষয়ে তেজ পারিবারিক সম্পর্কের কথা জানান, পাশাপাশি এ-ও বলেন, ‘‘কেউ আমাকে কোথাও যেতে আটকাতে পারেন না। আমি সবার সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছি।’’
তেজপ্রতাপ-বিতর্কের সূত্রপাত গত ২৪ মে। সে দিন সন্ধ্যায় তেজপ্রতাপের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তাঁর সঙ্গে অনুষ্কার একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টে দাবি করা হয়, তেজপ্রতাপ এবং অনুষ্কা গত ১২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ। দীর্ঘ দিনের সেই সম্পর্কের কথা এখন তিনি প্রকাশ্যে আনছেন। সেই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় বিহারের রাজনীতিতে। যদিও তেজপ্রতাপ পরে দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক করা হয়েছে। তাঁর ছবি ‘এডিট’ করে পোস্ট করেছে হ্যাকারেরা। তাঁর এবং তাঁর পরিবারের মানহানির লক্ষ্যেই এই সব ছবি পোস্ট করা হয়েছে। গুজবে কান না-দেওয়ার আহ্বানও জানান তেজপ্রতাপ।
তেজপ্রতাপের সাফাইয়ে চিঁড়ে ভেজেনি। পরের দিনই দল এবং পরিবার থেকে তেজকে বিতাড়িত করার কথা ঘোষণা করেন লালু। তিনি স্পষ্ট জানান, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’ এবং ‘পারিবারিক মূল্যবোধ ক্ষুণ্ণ’ করার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আগামী ছ’বছর আরজেডির সঙ্গে তেজপ্রতাপের কোনও সম্পর্ক থাকবে না বলেও জানিয়েছিলেন লালু। বিতাড়িত হওয়ার এক সপ্তাহ পরে মুখ খোলেন তেজ। সমাজমাধ্যমে পর পর দু’টি পোস্ট করেছিলেন তিনি। প্রথম পোস্টে তিনি জানান, লালুর ‘আদেশ’ মেনে নিচ্ছেন! তবে দ্বিতীয় পোস্টে দলেরই কিছু নেতার দিকে আঙুল তুলেছিলেন তেজ। নিশানায় ছিলেন জয়চাঁদ নামে এক আরজেডি নেতা। তেজ দাবি করেন, ‘‘বাবা, তুমি যদি না থাকতে, তবে এই দল (আরজেডি) থাকত না। শুধু তা-ই নয়, জয়চাঁদের মতো লোভী কিছু মানুষ, যাঁরা আমার সঙ্গেই রাজনীতি করেছেন, তাঁদেরও ঠাঁই হত না।’’ তবে সোমবার অনুষ্কার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আবার দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।