ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমন অভিযান। — ফাইল চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ে সুকমায় উদ্ধার হল মাওবাদীদের গোপন অস্ত্রভান্ডার। পাওয়া গিয়েছে রাইফেল এবং প্রচুর কার্তুজ। পুলিশের সন্দেহ মাওবাদীরাই এগুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন জঙ্গলের মধ্যে।
সুকমার গোন্দপল্লি এলাকায় মঙ্গলবার মাওবাদীদমন অভিযান চলছিল। স্থানীয় পুলিশ এবং আধাসেনা যৌথ ভাবে ওই অভিযান চালাচ্ছিল। ওই সময়েই গোন্দপল্লির পাহাড়ি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় লুকিয়ে রাখা অস্ত্রভান্ডার। পাওয়া যায় একটি এসএলআর রাইফেল, একটি ইনসাস রাইফেল, একটি সিঙ্গল ব্যারেল রাইফেল, একটি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল এবং আরও তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র। রাইফেল এবং পিস্তলের পাশাপাশি প্রচুর কার্তুজও পাওয়া গিয়েছে জঙ্গল থেকে। অনুমান করা হচ্ছে মাওবাদীরাই এগুলি জঙ্গলে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
সুকমা অঞ্চলে সশস্ত্র কার্যকলাপ চালাতে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি মাওবাদীরা ব্যবহার করতেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেও সুকমায় মাওবাদীদের একটি অস্ত্র কারখানার হদিস মেলে। সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী ওই কারখানা থেকে আটটি রাইফেল এবং বোমা তৈরির কাঁচামাল উদ্ধার করেছিল। তল্লাশি অভিযানের পর ভেঙে দেওয়া হয় অস্ত্র কারখানাটি। এ বার ফের সুকমায় মাওবাদীদের লুকিয়ে রাখা অস্ত্রের সন্ধান পেল যৌথ বাহিনী।
আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই মতো মাওবাদী প্রভাবিত এলাকাগুলিতে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। তাতে মাওবাদীরা এখন দৃশ্যতই কোণঠাসা। একদা মুক্তাঞ্চল ছত্তীসগঢ়ের বস্তার (সুকমা জেলা ছত্তীসগঢ়ের যে অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত) থেকেও প্রায় মুছে গিয়েছেন তাঁরা।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৯৯ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। গ্রেফতার হয়েছেন ৪৬০ জন। আর ৭১ জনকে নিকেশ করেছে যৌথ বাহিনী।