এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরার জন্য গাড়ি পাচ্ছিলেন না ২৫ বছরের তরুণী। শেষমেশ একটি ভ্যানে লিফ্ট নেন। সেটাই কাল হল। তিন ঘণ্টা ধরে আটকে রেখে গাড়ির ভিতরেই তরুণীকে ‘ধর্ষণ’ করলেন দুই যুবক। তার পর চলন্ত গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে দিলেন রাস্তায়। সোমবার গভীর রাতে হরিয়ানার গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোডের উপর ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর জখম ওই তরুণীর মুখে ও মাথায় চোট লেগেছে। মুখে পড়েছে ১২টি সেলাই। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নির্যাতিতা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ নির্যাতিতা এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে বেরোতে বেশ দেরি হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরার জন্য একটি ভ্যানে লিফ্ট নেন তিনি। গাড়িতে আগে থেকেই দুই যুবক ছিলেন। তাঁরা তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন। অভিযোগ, গাড়িতে ওঠার কিছু ক্ষণ পরেই নির্ধারিত গন্তব্যের পরিবর্তে গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোডের দিকে গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে দেন অভিযুক্তেরা। তার পর ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে ফরিদাবাদের নির্জন রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে যান দুই অভিযুক্ত। এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলন্ত গাড়িতেই গণধর্ষণ করা হয় ওই তরুণীকে। শেষমেশ ভোর ৩টের দিকে এসজিএম নগরের রাজা চকে এক হোটেলের সামনে তরুণীকে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা।
ভোরে কোনও ভাবে বাড়িতে যোগাযোগ করে গোটা ঘটনা জানান নির্যাতিতা। তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যেরা এসে তাঁকে ফরিদাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। নির্যাতিতার মুখে ও মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। মুখে পড়েছে ১২টি সেলাই। কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে মঙ্গলবারই আটক করেছে ফরিদাবাদ পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।