নিহত যুবক জ্যোতি শ্রবণ সাই। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের আলোচনার জন্য যুবককে দেখা করতে বলেছিল তাঁর প্রেমিকার পরিবার। সেই কথা মতো প্রেমিকার বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন যুবক। অভিযোগ, ওই যুবক যেতেই তাঁকে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনাটি তেলঙ্গানার সঙ্গারেড্ডি জেলার।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম জ্যোতি শ্রবণ সাই। তিনি কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মইসাম্মাগুড়ার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করতেন। কুতবুল্লাপুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন শ্রবণ। সৃজা নামে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তার পর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁদের সেই সম্পর্কের কথা সম্প্রতি জানতে পারে সৃজার পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনের এই সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেন সৃজার বাড়ির লোকেরা। শ্রবণকে ডেকে বেশ কয়েক বার সতর্কও করা হয়। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু গত সোমবার সৃজার বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন তাঁদের কন্যা অন্তঃসত্ত্বা। তার পরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সৃজার কাছে থেকে তাঁর পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন শ্রবণের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। কন্যার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার কথা জানাজানি হলে সম্মানহানি হতে পারে, এ কথা ভেবেই দিশাহারা হয়ে পড়ে সৃজার পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, এর পরই সৃজার বাড়ির লোকেরা শ্রবণকে দেখা করতে বলেন। তাঁকে জানানো হয়, সৃজার সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করতে চান তাঁরা। সৃজাকে দিয়েই শ্রবণকে ফোন করিয়ে ডেকে আনেন তাঁর মা। সৃজার বাড়িতে হাজির হন শ্রবণ। তাঁর সামনেই সৃজাকে বকাঝকা করতে শুরু করেন তাঁর মা। তাঁর পর সৃজাকে ব্যাট দিয়ে মারধর শুরু করেন। বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসেন শ্রবণ। তখন শ্রবণের মাথায় ব্যাট দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে সৃজার মায়ের বিরুদ্ধে। আহত হন শ্রবণ। রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।