Haryana Tennis Player Murder

রান্না করছিলেন, পিছন থেকে এসে পর পর গুলি করেন বাবা! ঝাঁঝরা হয়ে যায় রাধিকার শরীর, কী ঘটেছিল সেই মুহূর্তে

রাজ্য স্তরে টেনিস খেলতেন রাধিকা। হরিয়ানার গুরুগ্রামে তাঁদের তিনতলা বাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে দোতলায় রান্না করছিলেন ২৫ বছরের খেলোয়াড়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ১২:২৪
Share:

হরিয়ানায় টেনিস খেলোয়াড় কন্যাকে গুলি করে খুন করেছেন বাবা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

হরিয়ানার টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবকে বাড়িতেই গুলি করে খুন করেছেন তাঁর বাবা দীপক যাদব। মেয়েকে লক্ষ্য করে পর পর পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। তিনটি গুলি রাধিকার শরীর বিদ্ধ করে। বাকি দু’টি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই ২৫ বছরের ওই খেলোয়াড়ের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, রাধিকা এই সময়ে রান্নাঘরে ছিলেন। রান্না করছিলেন। আচমকা পিছন থেকে এসে তাঁর উপর গুলি চালান বাবা। কন্যাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দীপক। রাধিকা একটি টেনিস অ্যাকাডেমি চালাতেন। দীপক জানিয়েছেন, কন্যার রোজগারে খেতে হচ্ছে— বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। তা নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন। পাড়াপ্রতিবেশীরাও অনেকে এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করছিলেন। কন্যাকে অ্যাকাডেমি বন্ধ করতে বলেছিলেন দীপক। কিন্তু রাধিকা তা মানেননি। এর পরেই বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে গুলি করে খুন করেন দীপক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

রাজ্য স্তরে টেনিস খেলতেন রাধিকা। হরিয়ানার গুরুগ্রামের সুশান্ত লোক ২-এর ব্লক জি-তে তাঁদের তিনতলা বাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে দোতলায় রান্না করছিলেন রাধিকা। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর বাবা পিস্তল নিয়ে রান্নাঘরে ঢোকেন। আচমকা গুলি চালাতে শুরু করেন। তিনটি গুলিই রাধিকার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে বিঁধেছিল। ফলে তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

রাধিকার বাবার পিস্তলের লাইসেন্স ছিল। ঘাতক অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ৫১ বছরের দীপক পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১৫ দিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কারণ, তাঁর কন্যা তাঁর অমতে টেনিস অ্যাকাডেমি চালাচ্ছিলেন। রোজগার করছিলেন। এটা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। পড়শিরা কেউ কেউ তাঁকে রাধিকার রোজগার নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করতেন। বলতেন, এমন দিন এল যে দীপককে মেয়ের টাকায় খেতে হচ্ছে। মেয়ের রোজগারের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

Advertisement

অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার যশবন্ত যাদব বলেন, ‘‘মেয়েকে টেনিস অ্যাকাডেমি বন্ধ করার কথা বার বার বলেছিলেন দীপক। কিন্তু রাধিকা তাতে রাজি হননি। আগেও এ নিয়ে বাবা-মেয়ের বচসা হয়েছিল। সেই ঝামেলাতেই এই হত্যাকাণ্ড।’’ দীপক জানিয়েছেন, এই অপমান তিনি আর সহ্য করতে পারেননি। মেয়ের কেরিয়ার এবং রোজগার তাঁকে ক্রমে অবসাদে ডুবিয়ে দিচ্ছিল। এফআইআরেও এই অবসাদের উল্লেখ রয়েছে।

রাধিকা সমাজমাধ্যমেও সক্রিয় ছিলেন। কেউ কেউ বলছেন, সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি রিল আপলোড করেছিলেন তিনি। তা নিয়ে বাবার সঙ্গে তাঁর আর একপ্রস্ত ঝামেলা হয়েছিল। ওই ভিডিয়ো ভাল চোখে দেখেননি দীপক। তা-ও এই হত্যার কারণ হতে পারে। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের ডাবল্‌সের ক্রমতালিকায় ১১৩ নম্বরে ছিলেন রাধিকা। সম্প্রতি তিনি চোট পেয়েছিলেন। চলছিল ফিজ়িয়োথেরাপি।


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement