Uttarakhand

রেলের জমিতে ব্যাঙ্ক, স্কুল, ধর্মস্থান! ৪ হাজার পরিবারের উচ্ছেদ ঘিরে অশান্তি উত্তরাখণ্ডে

হলদোয়ানি রেলস্টেশনের কাছে প্রায় দু’কিলোমিটার জুড়ে গফুর বস্তি, ঢোলক বস্তি, ইন্দিরা নগর ও বনভুলপুরা এলাকার রেলের জমিতে কয়েক দশক ধরে বসবাস ৪,০০০-এর বেশি পরিবারের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৯
Share:

উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে উচ্ছেদের প্রতিবাদ ঘিরে উত্তেজনা। ফাইল চিত্র।

উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি রেলস্টেশনের কাছে প্রায় দু’কিলোমিটার জুড়ে গফুর বস্তি, ঢোলক বস্তি, ইন্দিরা নগর ও বনভুলপুরা এলাকার রেলের জমিতে কয়েক দশক ধরে বসবাস ৪,০০০-এর বেশি পরিবারের। রয়েছে, দোকানপাট, স্কুল, কলেজ, মন্দির, মসজিদ মায় ব্যাঙ্কও। কিন্তু গত ২০ ডিসেম্বর উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট রায় দিয়েছে, ওই জমি ছাড়তে হবে। ৭ দিনের নোটিসে রেলের জমিকে ‘জবরদখল-মুক্ত’ করার নির্দেশও দেয় হাই কোর্ট।

Advertisement

হলদোয়ানির কংগ্রেস বিধায়ক সুমিত হৃদয়েশের নেতৃত্বে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ওই বাসিন্দারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সেই আবেদনের শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। তার আগে বুধবার রেল এবং উত্তরাখণ্ড পুলিশের আধিকারিকেরা এলাকা পরিদর্শনে গেলে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়।

হাই কোর্টের শুনানিতে রেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিলেন, ওই এলাকায় বসবাসকারীরা জমির মালিকানার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সেই যুক্তি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেসে নেতা কাজি নিজামুদ্দিন। তবে তাঁর দাবি, ৭০ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছেন। শীতের মরসুমে রাতারাতি তাঁদের উচ্ছেদ করা মানবিকতার পরিপন্থী। ঘটনার নেপথ্যে কেন্দ্র এবং বিজেপি পরিচালিত উত্তরাখণ্ড সরকারের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, রেলের জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলির বড় অংশই সংখ্যালঘু।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন