ম্যাক্স হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করল দিল্লি সরকার। ছবি: পিটিআই।
দুই চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছিল আগেই। এ বার লাইসেন্সও বাতিল হল দিল্লির ম্যাক্স সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের।
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রনাথ জৈন। তিনি বলেছেন, ‘‘ম্যাক্স শালিমার বাগ হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করল দিল্লি সরকার। জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। তবে এটাই তাঁদের একমাত্র অপরাধ নয়। তাঁরা অভ্যাসগত অপরাধী।’’
এই ঘটনার আগেও হাসপাতালটির বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। হাসপাতালটিকে শো-কজ নোটিসও ধরানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
ইসলামের নিকেশ চান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ভিডিও প্রকাশ্যে
রাজস্থানের ‘লাভ জেহাদ’ হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ, চাকরির ঘোষণা মমতার
গত কয়েক দিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছে দিল্লির অন্যতম বড় এই হাসপাতাল। গত ৩০ নভেম্বর ওই হাতপাতালেই যমজ সন্তান প্রসব করেন এক তরুণী। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, মেয়েটি মৃত অবস্থায় জন্মেছে। ছেলেটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে ছেলেটিকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে দু’টি শিশুর দেহই তুলে দেওয়া হয় তাদের পরিবারের হাতে।
শিশুদের শেষকৃত্য করতে যাওয়ার সময় দেখা যায়, প্লাস্টিকের মধ্যে একটি শিশু নড়াচড়া করছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে ছোটেন শিশু দু’টির বাবা-মা। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, মেয়েটি মৃত। কিন্তু শিশুপুত্রটি জীবিত রয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই হইচই শুরু হয়ে যায় গোটা দেশে।
ঘটনার তদন্ত শুরু হয় ১ ডিসেম্বর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। এ পি মাথুর এবং বিশাল গুপ্ত নামে দুই চিকিৎসককে বরখাস্ত করেন ম্যাক্স সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।