নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
নোটের আকাল সামাল দিতে এ বার মাঠে নামল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
নগদ পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা। ব্যাঙ্কগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, এক দিনের মধ্যে ৮০ শতাংশ এটিএম যাতে কাজ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর যে নজরদারি করছে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে স্টেট ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নীরজ ব্যাস বলেন, ‘‘এসবিআই এটিএমগুলিতে গত ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। শীঘ্র অবস্থা স্বাভাবিক হবে।’’
কিন্তু এমন অবস্থা তৈরি হল কেন? অনেকের মতে, দু’হাজার টাকার নোটের সরবরাহ কমিয়ে ২০০ টাকার নোট চালু করতে গিয়েই সমস্যা হয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্টেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে।
২০১৬-র নভেম্বরে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার বাতিল করার পরে নগদের চাহিদা সামাল দিতে দু’হাজার টাকার নোট ছেড়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু এখন সেই নোট ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। তাতে সমস্যা হল, একটা দু’হাজার টাকার নোটের বদলে ১০টা ২০০ টাকার নোট লাগছে। কিন্তু এটিএমে কত নোট রাখা যাবে, সেই সংখ্যা তো বাঁধাধরা। ফলে এটিএম তাড়াতাড়ি খালি হচ্ছে।
এটিএম পরিচালন শিল্পের সংগঠন ক্যাটমি বলেছে, গত ১০ দিন ধরেই এটিএম-এ টাকা রাখার জন্য যথেষ্ট নগদ মিলছে না। মার্চ পর্যন্ত চাহিদার ৯০ শতাংশ ব্যাঙ্কগুলি মিটিয়ে দিত। এপ্রিলে তা ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখা আজ জানিয়েছে, নগদের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ফারাক প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ‘দু’মিনিটে শিকার উৎসব বন্ধ করতে পারতেন’, মমতাকে বাঘা খোঁচা মেনকার
সরকারের অবশ্য বক্তব্য, নগদের অভাব নেই। সমস্যা হল, কিছু রাজ্যে কম নগদ আছে, কিছু রাজ্যে বেশি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অহেতুক টাকা তোলা। সোমবার সারা দেশে ব্যাঙ্কগুলিতে জমা পড়েছে ২৩,৬৫১ কোটি টাকা। কিন্তু ২৯,৪৭৫ কোটি টাকা তোলা হয়েছে।