কানপুরে ওষুধের দোকানের মালিক-সহ চার জনের হাতে আক্রান্ত আইনের ছাত্র। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরে বচসার জেরে এক যুবকের পেট চিরে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কেটে নেওয়া হয়েছে তাঁর হাতের দু’টি আঙুল। গুরুতর জখম অবস্থায় যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এখনও অধরা চতুর্থ অভিযুক্ত।
কানপুরের রাওয়াতপুর এলাকার ঘটনা। আক্রান্ত যুবক ২২ বছরের অভিজিৎ সিংহ চান্দেল আইনের ছাত্র। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়ির কাছে একটি ওষুধের দোকানে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ওষুধের দাম নিয়ে দোকানের মালিকের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। অভিযোগ, মালিক অমর সিংহ চৌহান, তাঁর ভাই বিজয় সিংহ এবং তাঁদের দুই সহযোগী প্রিন্স শ্রীবাস্তব ও নিখিল তিওয়ারি দোকানেই যুবকের উপর চড়াও হন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথা এবং পেটে আঘাত করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে পেট চিরে যায়। রক্তে ভেসে যায় দোকান।
কল্যাণপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার রঞ্জিৎ কুমার জানিয়েছেন, অভিজিতের মাথা, পেট এবং আঙুলে গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাঁকে মেরে চার জনই পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। চতুর্থ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে কোনওমতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। অভিযোগ, আঘাত গুরুতর বলে চারটি হাসপাতাল তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছে। যুবককে ভর্তিই করানো যাচ্ছিল না। তাঁর মাথায় ১৪টি সেলাই পড়েছে।
আক্রান্তের মায়ের অভিযোগ, চৌহানেরা প্রভাবশালী। পুলিশকে ধরে প্রথমে তাই আক্রান্তের বিরুদ্ধেই তোলাবাজির মামলা করা হয়েছিল। পরে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চতুর্থ অভিযুক্ত প্রিন্সকে এখনও ধরা যায়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। যোগ করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারা। এই ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আরও এক বার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে বচসা, আগে থেকে যুবকের উপর তাঁদের কোনও আক্রোশ ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।