— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পাক সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তিন সরকারি কর্মীকে। চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই তিন কর্মীকে বরখাস্ত করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিন্হা। ধৃতদের মধ্যে এক পুলিশকর্মীও রয়েছেন।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকেই নিরাপত্তা বেড়েছে উপত্যকায়। কেউ পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কি না, সে সব খতিয়ে দেখতে নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তার তদন্তে নেমেই ওই তিন জনের বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, বরখাস্ত হওয়া তিন সরকারি কর্মী পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম)-এর হয়ে কাজ করছিলেন। জঙ্গিদের কাছে নানা গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্যও পৌঁছে দিতেন অভিযুক্তেরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম মালিক ইশফাক নাসির, আজাজ় আহমেদ এবং ওয়াসিম আহমেদ খান। মালিক পেশায় পুলিশ কনস্টেবল। ২০০৭ সালে রাজ্য পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে মালিকের ভাই আসিফ নাসিরেরও একটি অস্ত্র চোরাচালান মামলায় নাম জড়িয়েছিল। ২০১৯ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হন আসিফ। অন্য দিকে, আজাজ় এবং ওয়াসিম যথাক্রমে শিক্ষক এবং সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সহকারী হিসাবে কর্মরত। তিন জনকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
এক জন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তার কথায়, ‘‘বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীরা পাকিস্তানের বিভিন্ন নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর হয়ে সক্রিয় ভাবে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। এঁরা পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি বিভাগের পদে কর্মরত ছিলেন।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মালিক লশকর-এ-ত্যায়বার হয়ে অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদক পাচারের কাজ করতেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জোগাড় ও সরবরাহও করেছিলেন বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, পেশায় শিক্ষক আজাজ় হিজবুলের হয়ে কাজ করতেন। অভিযোগ, পুঞ্চে জঙ্গিদের অস্ত্র ও মাদক পাচারে সহায়তা করতেন তিনি। জঙ্গিযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ওয়াসিমেরও। ২০১৮ সালে সাংবাদিক সুজাত বুখারি ও তাঁর দুই রক্ষীকে হত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল শ্রীনগরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সহকারী হিসাবে কর্মরত ওয়াসিমের। সেই ঘটনায় এখনও তদন্ত চলছে। তার মাঝেই এ বার তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করল সে রাজ্যের সরকার।