রণথম্ভৌরের বিজলি উদ্ধার

সাতসকালে খবর এল, কুয়োয় পড়ে গিয়েছে ‘বিজলি’। সঙ্গে সঙ্গে ছুটল বন দফতরের দল। রণথম্ভৌর জাতীয় উদ্যান লাগোয়া খোয়া গ্রামের বাসিন্দারা অবশ্য কুয়োর পাড়ে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন বহু ক্ষণ আগেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৫৯
Share:

কুয়ো থেকে তোলা হচ্ছে বাঘিনি বিজলিকে। সঙ্গে বনরক্ষী। ছবি ফেসবুকের সৌজন্যে।

সাতসকালে খবর এল, কুয়োয় পড়ে গিয়েছে ‘বিজলি’। সঙ্গে সঙ্গে ছুটল বন দফতরের দল। রণথম্ভৌর জাতীয় উদ্যান লাগোয়া খোয়া গ্রামের বাসিন্দারা অবশ্য কুয়োর পাড়ে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন বহু ক্ষণ আগেই। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় কুয়ো থেকে বের করে আনা হল পূর্ণবয়স্ক বাঘিনিটিকে।

Advertisement

বন দফতরের ‘কো়ড’ অনুযায়ী তার পরিচয় ‘টি-৮৩’। যদিও ‘বিজলি’ নামেই বাঘিনিটিকে ডাকেন অফিসারেরা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, জঙ্গলে বিজলির নিজস্ব এলাকাটা হয়তো ছোট হয়ে এসেছিল। তাই গ্রামের দিকে চলে এসেছিল সে। সম্ভবত রাতে অন্ধকারে মুখখোলা ওই কুয়োয় পড়ে যায় সে।

খবর পেয়ে বন দফতরের পাশাপাশি যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি জাল ও নাইলনের খাটিয়া কুয়োয় নামানো হয়। সঙ্গে নামেন এক বনরক্ষীও। ঘুমপাড়ানি গুলিতে বিজলিকে অচেতন করে কুয়ো থেকে বের করে আনা হয়। বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, উদ্যানের অন্য একটি অংশে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে তাঁদের অভিযোগ, স্রেফ মজা দেখতে আসা কিছু পর্যটক ও গ্রামবাসী আজ উদ্ধারকাজে যারপরনাই বিঘ্ন ঘটিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement