ফাইল চিত্র।
ভাল বৃষ্টি হয়েছে গত বছর। নজরে পড়ার মতো বেড়েছে কৃষি উৎপাদনও। নরেন্দ্র মোদীর সরকার বারবার তা বুক বাজিয়ে বলে এসেছে এত দিন। অথচ মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ— একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যেই কৃষকেরা এখন বিক্ষোভে উত্তাল। ঋণ মুকুব চেয়ে। ফসলের দাম বাড়ানোর দাবিতে। ফলে তিন বছর ধরে যিনি গরিব ও কৃষকদের ‘মসিহা’ হিসেবে নিজেকে মেলে ধরে আসছেন, মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে পুলিশের গুলিতে কাল ৫ জন কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় তিনিই এখন জোটবদ্ধ বিরোধীদের নিশানায়। রাহুল গাঁধী জানিয়েছেন, আগামী কাল তিনি মন্দসৌরে যাবেন।
বিরোধীদের দাবি, ইউপিএ জমানাতেও কৃষিতে বৃদ্ধির হারে দেশে সব থেকে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলির একটি ছিল মধ্যপ্রদেশ। সেখানেই নোটবন্দির জেরে ফসলের দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা। ফসলের সহায়ক মূল্য ঘোষণা করতেও অনেক দেরি করেছে সরকার। যে কারণে কৃষকেরা আজও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ-মহারাষ্ট্রে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টও বলছে, নোটবন্দির প্রভাবে ধস নেমেছে কৃষিপণ্যের দামে।
এমন পরিস্থিতিতে যোগাসন নিয়ে টুইট করলেও কৃষকদের নিয়ে আজ টুঁ শব্দ করেননি প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন। কিন্তু তার পরে রীতিমাফিক সাংবাদিক বৈঠকটি হয়নি। কথা ছিল, এ দিনই মোদী জমানার তিন বছরে কৃষি ক্ষেত্রে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরবেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক-কল্যাণ মন্ত্রী রাধামোহন সিংহ। বাতিল হয় তা-ও।
আরও পড়ুন: রাইসিনায় কে, ভোট ১৭ জুলাই