ত্রিপুরা রাজভবনে রাজ্যপালের সচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দিচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
প্রথম দিনের কর্মসূচির শুরুতে বিমানবন্দরে আটকে থাকা, ধর্না, গাড়ি নিয়ে টানাপড়েনের মতো কিছু ঘটনা ঘটেছিল। তার পর অবশ্য বুধবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন এলাকায় শান্তিতেই ঘুরেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের কর্মসূচি আরও ‘নিরামিষ’। বুধবারের মতোই কড়া পুলিশি প্রহরায় থানা, রাজভবনে গেলেন সুস্মিতা দেব, সায়নী ঘোষ, বিরবাহা হাঁসদা, প্রতিমা মণ্ডল, কুণাল ঘোষ এবং সুদীপ রাহা। দলীয় কার্যালয়ে হামলার বিষয়ে আগরতলা পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। তার পর রাজভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল।
যদিও ত্রিপুরার রাজ্যপাল এন ইন্দ্রসেনা রেড্ডির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি তৃণমূলের প্রতিনিধিদের। কারণ, বৃহস্পতিবার দুপুরেই তিনি আগরতলা থেকে দিল্লি চলে যান। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল তাদের জানিয়েছিলেন, দিল্লি থেকে ফিরে তিনি দেখা করতে পারেন। কিন্তু অতটা সময় ত্রিপুরায় থাকার অপারগতার কথা জানিয়ে রাজ্যপালের সচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয় তৃণমূল।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশের কাছে তারা নির্দিষ্ট কতগুলি বিষয় উল্লেখ করেছে। এক, যারা হামলা চালাল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কী হবে? দুই, ত্রিপুরার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যাতে নির্ভয়ে দলীয় কাজ করতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত, চার বছর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা-সহ তৃণমূলের উপর যে যে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে। তৃণমূলের দাবি, কোনও প্রশ্নেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা পুলিশ কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।
জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার আগরতলার বনমালিপুরে প্রতিবাদ মিছিল করে পদ্মশিবির। সেই মিছিল থেকেই তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিনই তৃণমূল জানায়, তারা প্রতিনিধিদল পাঠাবে ত্রিপুরায়। সেই মতো বুধবার ছ’জনের দল পৌঁছোয় আগরতলায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁরা কলকাতায় ফিরে এলেন।