Kalyan Banerjee

‘অনুপ্রবেশ’ অস্ত্রেই পাল্টা সরব কল্যাণ

প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্যে এসআইআর-এর আগে বিহারে এসআইআর হওয়ার সময় বলা হয়েছিল— সে রাজ্যের ভোটার তালিকাতেও নাকি লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি-নেপালি-রোহিঙ্গা রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:২৮
Share:

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে আজ লোকসভায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনায় অংশনিয়ে কল্যাণ নির্বাচন কমিশনকে এক হাত নিয়ে বলেন, “বিহারে তো আপনারা অনেক কিছু বলেছিলেন। বলেছিলেন, বিহার থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বার করে দেবেন। কিন্তু এক জন অনুপ্রবেশকারীও খুঁজে পাননি। যদি অনুপ্রবেশকারী এসে থাকে, বিএসএফ-সিআইএসএফ তাদের ধরতে পারেনি! এটা তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রুটি।”

প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্যে এসআইআর-এর আগে বিহারে এসআইআর হওয়ার সময় বলা হয়েছিল— সে রাজ্যের ভোটার তালিকাতেও নাকি লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি-নেপালি-রোহিঙ্গা রয়েছেন। বিহারে ৭.৮৯ কোটি ভোটারের মধ্যে প্রথমেই খসড়া তালিকায় ৬৫ লক্ষের নাম বাদ পড়ে। তার মধ্যে ২২ লক্ষ মৃত, ৩৬ লক্ষ স্থানান্তরিত আর ৭ লক্ষ ‘ডুপ্লিকেট’ অর্থাৎ যাদের একাধিক জায়গায় নাম ছিল।

প্রশ্ন ওঠে, অনুপ্রবেশকারীরা তবে গেলেন কোথায়? পশ্চিমবঙ্গে যখন কেন্দ্র বারবার বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গ তুলছে, তখন সেটাকেই আজ সামনে নিয়ে আসেন কল্যাণ। তাঁর অভিযোগ, তালিকা থেকে ভোটার বাদ দেওয়ার জন্যই এসআইআর করা হচ্ছে। কিন্তু নতুন ভোটারদের কী ভাবে যুক্ত করা হবে, তা নিয়ে কোনও আলোকপাত করা হয়নি! সাংসদ বলেন, “ভোটারদেরই যখন রাখছেন না, তা হলে ভোট করিয়ে কী হবে। ভোটাররাই সরকার ঠিক করেন। কিন্তু এখন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদী ঠিক করেন, ভোটারকারা থাকবে।”

বীরভূমের বাসিন্দা সোনালি বিবিকে দেশ থেকে তাড়ানোর বিষয়টি উঠে আসে এই প্রসঙ্গেই। কল্যাণ বলেন, “দিল্লিতে কেউ বাংলায় কথা বললেই তাঁকে গ্রেফতার করে নেওয়া হবে! আপনারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিশ্চয়ই দেখেছেন। আদালত বলেছে, আগে তাঁদের ফেরত নিয়ে এসো। তার পরে বিচার হবে। সেই নির্দেশ মোতাবেক সোনালি বিবিদেরফেরত নিয়ে এসেছে কেন্দ্র। সব বাঙালিকে কি রোহিঙ্গা বলে তাড়িয়ে দেওয়া হবে? রোহিঙ্গারা কোথায় আসছে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তারা আসছে মিজ়োরামে। বিজেপি আসলে বাঙালি-বিদ্বেষী।”

বিএলও-দের উপর কাজের চাপের অভিযোগও উঠেছে সংসদে। বলা হয়েছে, ‘কাজের অমানবিক চাপে’ পশ্চিমবঙ্গে ২০ জন আত্মহত্যা করেছেন। তার সুইসাইড নোট রয়েছে। ৫ জন অসুস্থ। ১৯ জন মারা গিয়েছেন। ৩ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। কল্যাণ প্রশ্ন তোলেন, “এর জন্য দায়ী কে? নির্বাচন কমিশন?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন