ছবি: সংগৃহীত।
কত দ্রুত হারে ওজন কমানো যায় তা প্রচার করার জন্য অত্যধিক খাবার খেয়েছিলেন ফিটনেস প্রশিক্ষক। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার সেই স্টান্টের জন্য চরম মূল্য চোকাতে হল ৩০ বছরের তরতাজা তরুণকে। অতিরিক্ত খাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মারাই গেলেন ফিটনেস বিশেষজ্ঞ। নভেম্বরের শেষ দিকে তিনি মারা যান। সম্প্রতি সেই খবর ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে ওই ফিটনেস কোচ ও সমাজমাধ্যম প্রভাবী দিমিত্রি নুয়ানজিন নভেম্বর মাসে ওরেনবার্গে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান। দিমিত্রি অন্তত ২৫ কেজি ওজন বাড়ানোর জন্য জাঙ্ক ফুড খেয়েছিলেন। তার পর তিনি দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কত দ্রুত সেই একই পরিমাণ ওজন কমাতে পারেন। প্রতি দিন তিনি ১০ হাজার ক্যালোরিসম্পন্ন খাবার খেতেন। তাঁর খাবারের তালিকায় থাকত এক প্লেট পেস্ট্রি, অর্ধেক কেক, মেয়োনিজ়-সহ ৮০০ গ্রাম ডাম্পলিং, দুটি পিৎজ়া এবং জলখাবারে থাকত শুধু চিপ্স। মাত্র এক মাসে তাঁর ওজন ১৩ কেজি বেড়ে যায়। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাঁর ওজন ১০৫ কেজিতে পৌঁছে যায়।
দিমিত্রি তাঁর এই চ্যালেঞ্জের কথা সমাজমাধ্যমে অনুগামীদের কাছে তুলে ধরতেন প্রতি দিন। সেখানে তিনি তাঁর অনুগামীদের জন্য সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের ঘোষণাও করেছিলেন। নতুন বছরের মধ্যে যাঁরা শরীরের ওজনের ১০ শতাংশ কমাতে পারবেন তাঁদের দিমিত্রি ১০,০০০ রুবল (১৩০ ডলার) পুরস্কার দেবেন বলে জানান। মৃত্যুর এক দিন আগে তিনি তাঁর প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন। বন্ধুদেরও জানিয়েছিলেন তিনি অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও ছিল তাঁর। ঘুমের মধ্যেই হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।