TMC

ত্রিপুরায় আইন-শৃঙ্খলার শোচনীয় অবস্থা, অভিযোগে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল

সুস্মিতার দাবি, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক প্রচারে তৃণমূলকে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে। হিংসার শিকার হচ্ছেন দলীয় নেতা-নেত্রীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১ ২০:৫৪
Share:

ত্রিপুরায় আইন-শৃঙ্খলার ‘অবনতি’ রুখতে তথা শান্তি ফেরাতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন সুস্মিতা। ছবি: সংগৃহীত।

ত্রিপুরায় একের পর এক দলীয় নেতা-নেত্রীর উপর হামলার ঘটনায় বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। একই সঙ্গে ওই রাজ্যের রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যকেও লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন তিনি। সুস্মিতার দাবি, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক প্রচারে তৃণমূলকে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে। হিংসার শিকার হচ্ছেন দলীয় নেতা-নেত্রীরা। তৃণমূলের কার্যালয়, গাড়ি ভাঙচুর এবং ভোটপ্রচারের সামগ্রীও নষ্ট করা হচ্ছে। বিপ্লব দেবের রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনেরও আর্জি জানিয়েছেন সুস্মিতা।

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক জমি দখলের জন্য তৎপর হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় গিয়ে বার বার গেরুয়া শিবিরের হামলার মুখে পড়েছে দল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ থেকে থেকে শুরু করে হামলা চালানো হয়েছে যুবনেতা-নেত্রীদের উপর। তার সাম্প্রতিকতম সংযোজন সুস্মিতা। গত ২২ অক্টোবর ত্রিপুরায় হামলায় আহত হন তিনি। ওই ঘটনায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। মমতার পোস্টার ছেঁড়া এবং দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি— অভিযোগ তৃণমূলের। ত্রিপুয়ায় একের পর এক হিংসার ঘটনার কথা সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছে তারা।

Advertisement

শীর্ষ আদালতের পাশাপাশি ত্রিপুরার রাজ্যপালের কাছে চিঠিতে সুস্মিতার অভিযোগ, রাজভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ায় বঞ্চিত করা হয়েছে দলের প্রতিনিধিদের। ত্রিপুরায় আইন-শৃঙ্খলার শোচনীয় অবস্থা বলে দাবি সুস্মিতার। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘ত্রিপুরার বহু জেলায় মানুষ হিংসার শিকার হচ্ছেন। নষ্ট করা হচ্ছে তাঁদের সম্পত্তিও। ধর্মীয় স্থান, সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগের খবরে বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। উত্তর এবং পশ্চিম ত্রিপুরা ছাড়াও গোমতী, সিপাহিজলা এবং উনকোটিতে বহু দোকান ও মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে। তবে পুলিশ এ সব ঘটনার কথা অস্বীকার করছে।’

ত্রিপুরায় আইন-শৃঙ্খলার ‘অবনতি’ রুখতে তথা শান্তি ফেরাতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন সুস্মিতা। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট পেশের আবেদন করেছেন তিনি। হিংসায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারি-সহ পুলিশ-প্রশাসনের দায়বদ্ধতা নির্দিষ্ট করারও দাবি তাঁর। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় ত্রিপুরায় দলের সদস্যদের নিরাপত্তা প্রদানের আর্জিও রাজ্যপালের কাছে জানিয়েছেন সুস্মিতা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন