TMC

কংগ্রেসের কর্মসূচিতে যোগ দিল না তৃণমূল

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনের গোড়ায় দিল্লি এসে বলেছিলেন, যে সব বিরোধী দল সংসদে সহযোগিতায় আগ্রহী, তাদের সঙ্গে থাকবেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:২৮
Share:

প্রস্তাবে সাড়া দিল না তৃণমূল। প্রতীকী ছবি।

থাকতে পারি, কিন্তু কেন থাকব!

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনের গোড়ায় দিল্লি এসে বলেছিলেন, যে সব বিরোধী দল সংসদে সহযোগিতায় আগ্রহী, তাদের সঙ্গে থাকবেন তাঁরা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা না-থাকার প্রশ্নে কোনও স্থির নীতি নিচ্ছে না তৃণমূল। বরং কৌশলগত ভাবে তাদের ‘কংগ্রেস-অ্যালার্জি’কে কিছুটা জিইয়েই রাখছে।

আজ সকালে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত এবং‌ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১২টি বিরোধী দল। তাতে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি তৃণমূলের। সূত্রের খবর, গত কাল রাতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে এক তৃণমূল নেতাকে ফোন করে এই কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু সে‌ই প্রস্তাবে সাড়া দিল না তৃণমূল।

Advertisement

দলের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়ের কথায়, “কোনও আন্দোলন কর্মসূচির আগে দুই দলের মধ্যে আলোচনা করতে হয়। প্রত্যেকটি দলের পৃথক কৌশল থাকে। ডাকলেই চলে যাওয়া সম্ভব নয়।” তাঁর কথায়, “আগে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হোক, নিজেদের মধ্যে সুংসহত কথাবার্তা হোক। তারপর সম্মিলিত কর্মসূচি গ্রহণের প্রশ্ন আসবে।” তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, দল অন্য বিরোধী তথা কংগ্রেসের সঙ্গে বসে কথাবার্তায় অনুৎসাহী নয়। তার প্রমাণ, চলতি সংসদ অধিবেশন শুরুর সময় মল্লিকার্জুনের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন।

রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, কংগ্রেস প্রশ্নে এই মিশ্র কৌশলই এ বার নিয়েছে তৃণমূল। চলতি অধিবেশনে এক বার তারা কংগ্রেসের বিরোধী-বৈঠকে যোগ দিল। দ্বিতীয় বৈঠকটিতে যোগ দিল না। আবার আজকের সমাবেশেও গরহাজির থাকল। তৃণমূল সূত্র আরও একটি অভিযোগ কংগ্রেস সম্পর্কে তুলছে, যা বিজেপিও এর আগে বারবার তুলেছে। সেটি হল, আজ চিন নিয়ে কংগ্রেস গলা ফাটাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যাচ্ছে, ১৯৬২-র যুদ্ধের পর কংগ্রেস সরকারই লাদাখ থেকে ৩৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, যা আকসাই চিন বলে পরিচিত। তৃণমূলের বক্তব্য, চিন নিয়ে তারাও সংসদে আলোচনার জন্য নোটিস দিয়েছে। আগেও ডোকলাম এবং গলওয়ান সংঘর্ষের সময় তারা সংসদে সরব হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের কাছে নতজানু হয়ে তাদের সুরে সুর মিলিয়ে চিন নিয়ে বিরোধিতা করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। তৃণমূল নিজস্ব কৌশলে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।

তবে কংগ্রেসের একাংশ কিন্তু বিষয়টির মধ্যে ‘দিদি-মোদী’ রসায়ন দেখতে পাচ্ছে। সম্প্রতি নবান্নের চোদ্দো তলার ঘরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মমতার মিনিট ষোলোর একান্ত আলোচনার কথাও এই প্রসঙ্গে তুলছে কংগ্রেস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement