TMC

তথ্যচিত্র নিয়ে নীরবতা কেন, বোঝাচ্ছে তৃণমূল

তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এখন বিষয়টি আর রাজনৈতিক নেই, আইনি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। দলের মত, এই নিয়ে বেশি হইচই করলে শাসক দল বিজেপি আরও বেশি করে ধর্মীয় মেরুকরণ করার সুযোগ পেয়ে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:০৬
Share:

তৃণমূলের এক সংসদীয় নেতার দাবি, বিবিসির-র তথ্যচিত্রের বিষয়টি নিয়ে তাঁরাই প্রথম সরব হয়েছিলেন। প্রতীকী ছবি।

রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে সংসদের দু’টি কক্ষে বারো ঘণ্টা করে এবং বাজেট নিয়ে বারো ঘণ্টা করে আলোচনাতেই এ বারের বাজেট অধিবেশনের স্বল্পমেয়াদি প্রথমার্ধ শেষ হয়ে যাবে। তবে এই আলোচনার মধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারকে বেঁধার কৌশল নিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গত কালই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, তারা ‘মানুষের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বিষয়’ এবং ‘পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক ভাবে অবরুদ্ধ করা’র অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হবে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ প্রকল্পে কেন্দ্রের বরাদ্দ ফেলে রাখার মতো বিষয়গুলি এ বার প্রাধান্য পাবে তৃণমূল সাংসদদের বক্তব্যে। কিন্তু অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে বা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ নিয়েও কি একই ভাবে সরব হবেন তাঁরা?

Advertisement

রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ গত কাল রাজনাথ সিংহের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে শিবসেনা, ডিএমকে বা বামেদের মতো দলগুলি (কাশ্মীরে রাহুল গান্ধীর অনুষ্ঠানে ব্যস্ত কংগ্রেসের নেতারা সংসদের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি) এই দু’টি বিষয় নিয়ে সরব হলেও এ নিয়ে রা কাড়তে দেখা যায়নি তৃণমূলকে। আজ অবশ্য তৃণমূলের এক সংসদীয় নেতার দাবি, বিবিসির-র তথ্যচিত্রের বিষয়টি নিয়ে তাঁরাই প্রথম সরব হয়েছিলেন। খবর প্রকাশ্যে আসার পরে গত ৯ তারিখে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে বলেছিলেন, সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব ওই তথ্যচিত্রটি ‘বেআব্রু’ করে দিয়েছে। যদিও পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডেরেকের সেই টুইটটি মুছে দেওয়া হয়। কারণ জানিয়ে তাঁকে একটি মেল পাঠানো হয় টুইটারের তরফে। তাতে বলা হয়েছিল, ভারত সরকারের অনুরোধেই টুইটটি মুছে ফেলা হয়েছে। ডেরেক একে ‘নিষেধাজ্ঞা জারির সমান’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এখন বিষয়টি আর রাজনৈতিক নেই, আইনি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। দলের মত, এই নিয়ে বেশি হইচই করলে শাসক দল বিজেপি আরও বেশি করে ধর্মীয় মেরুকরণ করার সুযোগ পেয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন