ছত্তীসগঢ়ে গুলির লড়াইয়ে নিহত শীর্ষ মাওবাদী নেতা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ (ইনসেটে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত শীর্ষ মাওবাদী নেতা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ। পুলিশের খাতায় তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। তিনি একা নন, আরও ২৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে মাওবাদী-মুক্ত করা হবে। তার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাওবাদী দমন অভিযান শুরু হয়। সেই অভিযানের অংশ হিসাবেই বুধবার সকালে ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুরের অবুঝমাঢ়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। এই দুর্গম পাহাড়ি এলাকা অবুঝমাঢ় মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর ছিল, অবুঝমাঢ়ে লুকিয়ে রয়েছেন এক মাওবাদী কমান্ডার। প্রথমে তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে পরে জানা যায়, ওই কমান্ডারই হলেন বাসবরাজ।
এই অভিযানের পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “দেশকে নকশালবাদ থেকে মুক্ত করতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। আজ ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২৭ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিপিআই-মাওবাদীর সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসভরাজু। নকশালবাদের বিরুদ্ধে তিন দশকের লড়াইয়ে এই প্রথম আমাদের বাহিনীর অভিযানে সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদার কোনও মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে।”
গত ২১ এপ্রিল থেকে কারেগুট্টা পাহাড় এলাকায় শুরু হয় মাওবাদী দমন অভিযান। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী ‘কোবরা’র পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের সশস্ত্র পুলিশ ও ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনী রয়েছে ওই দলে। মাঝে এক দিনের জন্য অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে তার পর এই অভিযান ফের শুরু হয়। ধাপে ধাপে প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে ‘বৃহত্তম’ মাওবাদী অভিযান।