আবার ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী-দমন অভিযান। বুধবার সকালে অবুঝমাঢ়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে কমপক্ষে ২৭ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা অবুঝমাঢ় মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অবুঝমাঢ়ে এক মাওবাদী কমান্ডার আশ্রয় নিয়েছিলেন। গোপন সূত্রে সেই খবর পাওয়ার পরেই রাজ্যের যৌথবাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। শুধু নারায়ণপুর নয়, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর এবং কোন্ডাগাঁওতেও একই সঙ্গে অভিযান চালানো হয়। অবুঝমাঢ় শুধু ছত্তীসগঢ়ে নয়, মহারাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে অনেক দূর বিস্তৃত। তবে বেশির ভাগ অংশই নারায়ণপুর জেলার মধ্যেই পড়ে।
গত ২১ এপ্রিল থেকে কারেগুট্টা পাহাড় এলাকায় শুরু হয়েছে মাওবাদী দমন অভিযান। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী ‘কোবরা’র পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের সশস্ত্র পুলিশ ও ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনী রয়েছে ওই দলে। মাঝে এক দিনের জন্য অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে মাওবাদী-মুক্ত করা হবে। সেই সঙ্কল্পের অধীনেই কারেগুট্টা পাহাড় ঘিরে ফেলে অভিযানে নেমেছে বাহিনী। ধাপে ধাপে প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে ‘বৃহত্তম’ মাওবাদী অভিযান। দিন কয়েক আগেই কারেগুট্টা পাহাড় এলাকায় মাওবাদী দমন অভিযানের সময় ৩১ জনের মৃত্যু হয়।