পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ গোপন রাখতে নানা পন্থা নিতেন হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রা! তদন্তে উঠে আসছে এমনই তথ্য। সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্যোতি যে ‘চরবৃত্তি’ করতেন, তার বেশ কয়েকটি নতুন ‘ডিজিটাল’ প্রমাণও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। তাঁদের মতে, জ্যোতির সমাজমাধ্যমের ভিডিয়োগুলো ছিল সত্যটাকে আড়াল করার জন্য! পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে ‘এনক্রিপ্ট’ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতেন তিনি। সেই বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।
হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, স্ন্যাপচ্যাট, টেলিগ্রাম, হোয়াট্সঅ্যাপের মতো সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করতেন জ্যোতি। এই সব ক’টি প্ল্যাটফর্মই ‘এনক্রিপ্টেড’! সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্যোতির সঙ্গে পাকিস্তান দূতাবাসের আধিকারিক এহসান দার ওরফে দানিশের আলাপ হয়েছিল হরিয়ানার শিখ গুরুদ্বার ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মী হরকিরত সিংহের মাধ্যমে। অভিযোগ, জ্যোতিকে অন্তত দু’বার হরকিরতই সাহায্য করেছিলেন। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই তাঁর বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস এবং মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে।
তদন্তে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে জ্যোতি বিভিন্ন পাকিস্তানি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। সেই সময়েই তিনি পাকিস্তান সফরে যান। ভারতে ফিরে এলেও পাকিস্তানি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় ছিল জ্যোতির। তদন্তে ‘জাট রনধাওয়া’ নামে এক ব্যক্তির কথাও উঠে এসেছে। যদিও সেই নামে কোনও ব্যক্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, জ্যোতি দাবি করেছেন, তিনি যাতে ধরা না পড়েন, সেই কারণে শাকির নামে এক পাকিস্তানি এজেন্টের নম্বর ওই নামে মোবাইলে সেভ করে রেখেছিলেন।
সূত্রের খবর, জ্যোতি যখন পাকিস্তানে ছিলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েক জন পাকিস্তানির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। সেই সূত্র ধরেই পাকিস্তানের কয়েক জন গোয়েন্দাকর্তার সঙ্গে জ্যোতির পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। তবে তিনি কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন নিয়মিত, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, আলি হাসান নামে আইএসআই ‘হ্যান্ডলার’-এর সঙ্গে হোয়াট্সঅ্যাপে কথোপকথন চলত জ্যোতির। সাঙ্কেতিক ভাষায় তাঁদের মধ্যে কথা হত। কখনও ‘প্রোটোকল’, কখনও ‘আন্ডারকভার এজেন্ট’— এই ধরনের সাঙ্কেতিক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। জানা গিয়েছে, এই আলিই পাকিস্তানে জ্যোতির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।