কাশ্মীরের কুলগামে চলছে ‘অপারেশন অখল’। —ফাইল চিত্র।
রাতভর সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই চলছে জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ের জঙ্গলে। এই অভিযানে এখনও পর্যন্ত মোট ছ’জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। আহত হয়েছেন এক সেনা জওয়ান। শনিবার রাতভর গুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলার অখল জঙ্গলে। এই জঙ্গলের নামানুসারেই সামরিক অভিযানের নাম রাখা হয়েছে ‘অপারেশন অখল’।
শুক্রবারেই তিন জঙ্গিকে নিকেশ করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। শনিবারের অভিযানে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়। সেনার একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গুলির লড়াই বা ‘এনকাউন্টার’-এ শনিবার যে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়, তাঁরা প্রত্যেকেই লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)-এর সদস্য। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটিই পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল, যে হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের।
কুলগাঁও থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ছোট জঙ্গলঘেরা গ্রাম অখল। এই গ্রাম কুলগাঁও জেলার অন্তর্গত। গোয়েন্দা সূত্রে সেখানেই জঙ্গিদের অবস্থানের খোঁজ পেয়েছিল সেনা। এর পর ‘অপারেশন অখল’-এর পরিকল্পনা করা হয়। শুক্রবার প্রথমে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে প্রথমে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছিল। জওয়ানদের লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি চালালে শুরু হয় সংঘর্ষ।
পহেলগাঁওকাণ্ডের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত, যার ফলে এখনও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে। পহেলগাঁও হামলার তিন মাস পর সম্প্রতি ওই ঘটনায় জড়িত তিন জঙ্গিকে হত্যা করেছে সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন মহাদেব’। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় সুলেমন ওরফে আসিফের, যে পহেলগাঁও হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে অভিযোগ। এ ছাড়া তাঁর দুই সঙ্গী জিব্রান এবং হামজ়া আফগানিকেও হত্যা করা হয়েছে। তিন জনেই পাকিস্তানের নাগরিক। তার কিছু দিনের মধ্যে কুলগাঁওয়ে নতুন অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানে নিহত জঙ্গিদের পরিচয় এখনও অবশ্য জানা যায়নি।