Madhya pradesh

তাপবিদ্যুৎ কারখানার ছাই ঢেকেছে মধ্যপ্রদেশের গ্রাম, পালাচ্ছেন মানুষ

জেলা প্রশাসনের তরফে অনুমান, অন্তত পাঁচশো কৃষকের জমি নষ্ট হয়েছে বুধবার রাতের এই ঘটনায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৯ ১৮:৪২
Share:

ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে পাঁচজন শিশুকে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমানো আর্সেনিক বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেন মধ্যপ্রদেশের শোনভদ্রা জেলার সিঙ্গারুলি গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। অভিযোগের তির বেসরকারি তাপবিদ্যুৎ কারখানা এসার পাওয়ার এমপি লিমিটেডের দিকে।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের তরফে অনুমান, অন্তত পাঁচশো কৃষকের জমি নষ্ট হয়েছে বুধবার রাতের এই ঘটনায়। এলাকা ছাড়তে শুুরু করেছেন বহু মানুষ। জেলাশাসক কেভিএস চৌধরি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে পাঁচজন শিশুকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। বিষাক্ত ছাইয়ে তাদের মাথা থেকে পা সাদা হয়ে গিয়েছিল।


আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে বিক্ষোভ থামাতে ছর্‌রাও
আরও পড়ুন: কেরলে বন্যায় মৃত ২২, নামল সেনা, ১০ ফুট জলের নীচে মহারাষ্ট্রের কোলহাপুর

Advertisement

মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম সিঙ্গুরালি। কমবেশি ১০টি বেসরকারি তাপবিদ্যুৎ কারখানা গড়ে উঠেছে এই গ্রামে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল গাজিয়াবাদের পরেই দেশের সবচেয়ে বড় দূষিত শিল্পাঞ্চল এটি। প্রতিদিন জমতে থাকা বিষাক্ত ছাই মানুষকে এখানে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। কারণ, এই ছাইয়ে রয়েছ আর্সেনিক-সহ আরও বহু বিষাক্ত পদার্থ। কিন্তু টনক নড়েনি কারও। এদিনের ঘটনারও দায় ঝেড়েই ফেলেছে এসার পাওয়ার এমপি লিমিটেড। লিখিত বিবৃতি দিয়ে তাঁরা জানায়, ‘এটি পরিষ্কার অন্তর্ঘাত। আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা বেশ কিছু অচেনা লোককে এই অঞ্চলে ঘোরাফেরা করতে দেখেছে। ইতিমধ্যেই আমরা থানায় এফআইআর দায়ের করেছি।’

কেন্দ্রীয় সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিতে স্পষ্ট বলা রয়েছে, এই ধরনের শিল্প-বর্জ্য যে আধারে জমা করা হবে তা যেন চারদিক থেকে কংক্রিটের পাচিল ঘেরা হয়। এমনকি, বেঁধে দেওয়া হয়েছে বর্জ্য জমা করার পরিমাণও। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, অনেকেই এই নিয়ম মানছেন না। তারই ফল ভুগছে সিঙ্গারুলি। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালে অভিযোগকারী একজন সমাজকর্মী জগৎ নারায়ণ বিশ্বকর্মা জানাচ্ছেন, ‘‘অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে, কেউ গুরুত্ব দেয়নি। এবার দু’টি গ্রামের চাষের জমি নষ্ট হল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন