Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভূস্বর্গে বিক্ষোভ থামাতে ছর্‌রাও 

শুক্রবার বিক্ষোভ মাত্রা ছাড়াতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন অনেকে।

ছর্‌রা বুলেটে জখম এক কাশ্মীরি যুবক। ছবি: এপি।

ছর্‌রা বুলেটে জখম এক কাশ্মীরি যুবক। ছবি: এপি।

সংবাদ সংস্থা
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৫৭
Share: Save:

কড়া নিরাপত্তা উপেক্ষা করেই উপত্যকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভের আঁচ। কাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শুধু শ্রীনগরের ৩০টি জায়গায় কার্ফু অমান্য করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মানুষ। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে, ছোড়া হয়েছে বিতর্কিত ছর্‌রা (পেলেট) বন্দুকও। ছর্‌রা বুলেটের জখম নিয়ে শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সসে ভর্তি চার জন, যাঁদের মধ্যে তিন জনের বয়স ১৫ থেকে ১৮-র মধ্যে।

শুক্রবার বিক্ষোভ মাত্রা ছাড়াতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন অনেকে। নমাজের জন্য কার্ফু ও ১৪৪ ধারা শিথিল করার কথা ভাবছে প্রশাসন। আসন্ন ইদের দিনেও নিরাপত্তা শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে দিন বিক্ষোভ যাতে না-ছড়ায়, তার জন্য সিআরপি-কে বিশেষ ভাবে তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

কার্ফু জারি থাকায় চার দিন সরকারি দফতরগুলি ছিল বন্ধ। সরকারি কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। আটক পর্যটক ও বাইরের লোকেদের জন্য কয়েকটি সহায়তা কেন্দ্র চালাচ্ছে রাজ্য। কোথাও কোথাও খাবার বিলিও হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন যে এ বার আরও তৎপর হচ্ছে, মুখ্যসচিবের নির্দেশে তা স্পষ্ট হয়েছে। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাশ্মীরের বিভিন্ন কারাগারে আটক প্রায় ৭০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীকে আগরার জেলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও হুরিয়তের নেতাদেরও অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দু’দিন আগেই লোকসভায় লাদাখের বিজেপি সাংসদ সেরিং নামগিয়াল দাবি করেছিলেন, তাঁর কেন্দ্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মোদী সরকারের পাশে রয়েছেন। সেই কার্গিলে কাল হরতাল পালিত হয়েছিল। আজ ১৪৪ ধারার মধ্যেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান মানুষ। জয়েন্ট অ্যাকশান কমিটি-র ব্যানারে সব চেয়ে বড় মিছিলটিতে অন্তত ৩০০ মানুষ ছিলেন। কয়েক জনকে আটকও করা হয়। কার্গিলের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা কামার আলি আখুন বলেন, ‘‘আমরা চাই লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে একটাই রাজ্য থাকুক।’’ কংগ্রেস নেতা নাসির হুসেন মুন্সি বলেন, ‘‘আমাদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়েছে। এ ভাবে দাবিয়ে রাখা যাবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE