Suspension of Derek O’Brien

‘উচ্ছৃঙ্খল এবং চেয়ারের অবমাননা’, ডেরেককে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করলেন ধনখড়

বিজেপি সাংসদ পীযূষ গয়াল ডেরেকের বিরুদ্ধে ‘অনবরত অধিবেশনের অগ্রগতিতে বাধা দেওয়া, চেয়ারম্যানকে অসম্মান এবং বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৩ ১২:৪২
Share:

রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় এবং তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ছবি: সংগৃহীত।

তাঁকে আগেই সতর্ক করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার বাকি অধিবেশনের জন্য তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করে দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।

Advertisement

মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য বার বার দাবি করেন ডেরেক। তখন চেয়ারম্যান তাঁকে সতর্ক করেন। এর মধ্যেই বিজেপি সাংসদ পীযূষ গয়াল ডেরেকের বিরুদ্ধে ‘অনবরত অধিবেশনের অগ্রগতিতে বাধা দেওয়া, চেয়ারম্যানকে অসম্মান এবং বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করেন। তার পরই ‘উচ্ছৃঙ্খল’ ব্যবহার এবং ‘চেয়ারম্যানের নির্দেশকে অবমাননা’র কারণ দেখিয়ে ডেরেককে সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।

মণিপুরের ঘটনা এবং দিল্লির আমলা নিয়োগ এবং পদোন্নতি সংক্রান্ত (দিল্লি বিল) বিল-সহ একাধিক বিষয়ে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত সংসদের দুই কক্ষ। বার বার মুলতুবি হয়ে গিয়েছে রাজ্যসভা এবং লোকসভা। মঙ্গলবারও একই ছবি ধরা পড়ল সংসদের উচ্চকক্ষে। অধিবেশন শুরু হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। তার পরই ডেরেকের উপর নেমে আসে ‘শাস্তির’ খাঁড়া।

Advertisement

অধিবেশনের শুরু থেকে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছে বিরোধী দলগুলি। সোমবারও সেই একই দাবিতে তুমুল হইহট্টগোলের মধ্যে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষ। মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হতে রাজ্যসভার চেয়াম্যানের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক। এর আগেও গত শুক্রবার তৃণমূল সাংসদকে সতর্ক করেছিলেন চেয়ারম্যান ধনখড়। তখন তাঁকে উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।” সোমবারও দিল্লি বিল নিয়ে আলোচনার সময় ডেরেকের বিরুদ্ধে ধনখড় অভিযোগ তুলে জানান, জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্যই তিনি এই ধরনের ‘নাটক’ করছেন। এর পরই তাঁকে সতর্ক করা হয়।

শুধু ডেরেক নন, এর আগেও গত ২৪ জুলাই আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে ‘সাংসদ পদের অবমাননা’ করার জন্য গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। ঘটনাচক্রে, সঞ্জয়কে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ পীযূষ গয়ালই। ধ্বনিভোটে সেই প্রস্তাব পাশ হয়। তার পরই সঞ্জয়কে সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন