Biplab Deb

Biplab Deb: চাপে বিপ্লব দেব, খতিয়ে দেখছেন ইউএপিএ মামলা

সত্যসন্ধানে আসা সাংবাদিক ও আইনজীবীরা আগরতলায় গত ২ নভেম্বর সাংবাদিক বৈঠক করেন ও সামাজিক মাধ্যমে ‘ত্রিপুরা জ্বলছে’ বলে মন্তব্য করেন। ওই সমস্ত পোস্টের জন্য পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে মামলা করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৩৫
Share:

ফাইল চিত্র।

ত্রিপুরায় ইউএপিএ প্রয়োগ নিয়ে এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এই আইনটির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সম্প্রতি। নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্র ও ত্রিপুরা সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে আজ সাংবাদিক ও আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা পুলিশের ইউএপিএ-তে দায়ের করা মামলাগুলি পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ডিজিপি ভি এস যাদব সেই নির্দেশ পেয়েই পুলিশের এডিজি (ক্রাইম ব্রাঞ্চ)-কে মামলাগুলি খতিয়ে দেখতে বলেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, অপরাধ শাখা পর্যালোচনা শুরুও করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে পরের শুনানি হওয়ার কথা ৩ জানুয়ারি। মামলা পর্যালোচনার কাজ তার আগেই সেরে ফেলতে চাইছেন বিপ্লব।

Advertisement

সত্যসন্ধানে আসা সাংবাদিক ও আইনজীবীরা আগরতলায় গত ২ নভেম্বর সাংবাদিক বৈঠক করেন ও সামাজিক মাধ্যমে ‘ত্রিপুরা জ্বলছে’ বলে মন্তব্য করেন। ওই সমস্ত পোস্টের জন্য পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে মামলা করে। সামাজিক মাধ্যমে গুজব রটানোর অভিযোগে শুধু ওই তিন জন নয়, এ পর্যন্ত মোট ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। তার মধ্যে ইউএপিএ-তে মামলা হয়েছে ১০২ জনের বিরুদ্ধে।

ডিজিপি যাদব জানিয়েছেন সম্প্রতি রাজ্যের কিছু ঘটনার ভুয়ো খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর ফলে সারা দেশে ত্রিপুরার বদনাম হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছিল। তাই ইউএপিএ এবং বিভিন্ন ধারায় কিছু মামলা করা হয়। এডিজি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে তদন্তের কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সাংবাদিক শ্যাম মীরা সিংহ এবং দুই আইনজীবী, মুকেশ গউর ও আনসারুল হক ইন্দোরির বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে অভিযোগ দায়ের করা বলে তাঁরা এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বাক্‌ স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ আনেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে শুনানি হয়। আদালত ত্রিপুরা পুলিশের এজাহার বাতিল বা তদন্ত বন্ধের আবেদন মঞ্জুর করেনি। তবে, আবেদনকারীদের গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে শীর্ষ আদালত।

সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর মন্তব্য, “বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ লুকোচ্ছেন। বাংলাদেশের ঘটনার পরে রাজ্যের ঘটনা রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা ঢাকতেই সন্ত্রাসবাদ দমনের ওই আইন প্রয়োগ করেছিল পুলিশ।” বিপ্লব দেব দেশবাসীর কাছে ত্রিপুরার মুখ পুড়িয়েছেন বলেও দাবি করেন জিতেন্দ্র। তৃণমূল কংগ্রেসের সুবল ভৌমিক বলেন, “কেনই বা মামলা করা হল, কেনই বা আবার পর্যালোচনা করা হচ্ছে? বিপ্লব দেবের খামখেয়ালিপনার জন্য রাজ্যের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।” বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের যুক্তি, “মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিতেই পারেন। বিষয়টি পুরোপুরি প্রশাসনের এক্তিয়ারে পড়ে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন