ফের বেফাঁস বিপ্লব, অস্বস্তিতে বিজেপি

সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এ ব্যাপারে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন— ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের এই মন্তব্য শুনে হতবাক বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৮ ০২:৩৮
Share:

নাগরিকত্বের বিষয়টি অসমে বড় কোনও ব্যাপার নয়। তবে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এ ব্যাপারে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন— ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের এই মন্তব্য শুনে হতবাক বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

Advertisement

আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করতে নাগপুরে গিয়েছিলেন বিপ্লব। সেখানেই সংবাদমাধ্যমে তিনি এ কথা বলেছেন। বিপ্লবের মন্তব্য ঘিরে তুলকালাম শুরু হয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কানে এসেছে। শুনেছেন অমিত শাহও। বিপ্লবের মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বিজেপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, ‘‘অসমে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ এনেছেন। আর আমাদেরই দলের নেতা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দলের আর এক মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এমন কথা বলছেন?’’

বিপ্লব অবশ্য দলের কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তিনি এটা বলতে চাননি। বরং তাঁর বক্তব্য ছিল, নাগরিকত্বের বিষয়ে ত্রিপুরাতে কোনও বিতর্ক নেই। সেখানে সকলেরই কাগজপত্র রয়েছে! কোনও সমস্যা নেই অসমেও। আর অসমের মুখ্যমন্ত্রী খুবই যোগ্য নেতা। তবে সে রাজ্যে অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কিছু লোক। তবে বিপ্লব ত্রিপুরায় নাগরিক পঞ্জির দরকার নেই বলে দাবি করলেও তাঁরই সরকারের জনজাতি উন্নয়নমন্ত্রী তথা আইপিএফটি-র সাধারণ সম্পাদক মেবারকুমার জামাতিয়া বলেছেন, ‘‘ত্রিপুরাতেও একটি নাগরিক পঞ্জির দরকার।’’ এই সংঘাতে রাজ্য সরকারের ভিতর অস্বস্তিতে শুরু হয়েছে। ত্রিপুরার আর এক জনজাতি দল আইএনপিটিও নাগরিক পঞ্জির দাবি তুলেছে।

Advertisement

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বেশ কিছু মন্তব্য নিয়ে আগরতলায় বিতর্ক চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির ব্যাখ্যা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দলের মুখপাত্র। শোনা যাচ্ছে, বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রী করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন যিনি, সেই আরএসএস নেতা সুনীল দেওধরও নাকি বিরক্ত। ত্রিপুরার পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশের সংগঠনের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে তিনি সেখানে গিয়েছেন। দেওধর এ সপ্তাহে আগরতলায় এসে বিপ্লবের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন