ত্রিপুরায় ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরার উচ্চশিক্ষা জগতে প্রবেশ করল টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ। উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার উপস্থিতিতে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি, ত্রিপুরা’ (টিআইইউটি)-র নলেজ ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল শুক্রবার।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার মহেশখোলা এলাকায় আধুনিক নলেজ ক্যাম্পাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ত্রিপুরায় শিক্ষাক্ষেত্রে টেকনো ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর ভূমিকার প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী মানিক বলেন, ‘‘এই নলেজ ক্যাম্পাস একদিন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে।’’ অনুষ্ঠানে হাজির ত্রিপুরার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মন জানান, সত্যম রায়চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী আগামী দিনে তাঁদের রাজ্যে শিক্ষা পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত নলেজ ক্যাম্পাসের অ্যাকাডেমিক ব্লক-ডি এবং টেগোর লাউঞ্জ, ৩৩ কিলোভোল্ট বিদ্যুৎ সাবস্টেশন উদ্বোধনের পাশপাশি বৃক্ষরোপণ এবং রক্তদান কর্মসূচিতেও অংশ নেন। ক্যাম্পাসে ছাত্র ও ছাত্রীদের হস্টেল তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। শুক্রবার স্থাপিত হয়, অডিটোরিয়াম, উপাচার্যের বাংলো এবং কর্মচারীদের আবাসিক ব্লক–এর ভিত্তিপ্রস্তর। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম নতুন নলেজ ক্যাম্পাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘টেকনো ইন্ডিয়ার নলেজ ক্যাম্পাসকে আগামী দিনে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’’ ত্রিপুরা সরকারের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অরুণোদয় সাহা, টেকনো ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর কো-চেয়ারপার্সন মানসী রায়চৌধুরী, এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর মেঘদূত রায়চৌধুরী, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য শঙ্কু বসু, সহকারী উপাচার্য সুপ্রতিম সেন, সিওও অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, নেতাজি সুভাষ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির সিওও তন্ময় রায়চৌধুরী, টেকনো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ দিবাকর দেব এবং ত্রিপুরার কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। অনাথ শিশুদের সহায়তা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাদ্যমেলা-সহ নানা কর্মসূচির আয়োজনও ছিল নলেজ ক্যাম্পাসের উদ্বোধনে। সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করেন শান্তনু রায়চৌধুরী, কৃষ্ণকলি সাহা এবং ত্রিপুরার প্রথম মহিলা ব্যান্ড ‘মেঘবালিকা’।