ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। বুধবার রাতেই দিল্লির এইমস সে কথা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালেও তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, অটলবিহারীর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। কিন্তু, এ সবের মধ্যেই মারাত্মক এক ভুল করে ফেললেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। বুধবার সন্ধ্যাতে তিনি একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘অটলবিহারী বাজপেয়ী মারা গিয়েছেন। ওম শান্তি।’’
তত ক্ষণে গোটা দেশ জেনে গিয়েছে, অটলবিহারী বেঁচে আছেন। তবে, তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। কিন্তু, তথাগতের কোনও হেলদোল ছিল না। প্রথম টুইটের প্রায় ১২ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেন।
লেখেন, ‘‘আমি দুঃখিত। সর্বভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলে শুনে আমি টুইট করেছিলাম। আমি ওটাই সত্যি বলে ধরে নিয়েছিলাম। কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না। আমি আগের টুইটটি মুছে দিয়েছি। আবারও দুঃখপ্রকাশ করলাম।’’
আরও পড়ুন: সঙ্কটজনক বাজপেয়ী এখনও লাইফ সাপোর্টে, দিল্লিতে নেতাদের ভিড়, যাচ্ছেন মমতাও
যদিও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল। কেউ কেউ তাঁর রাজ্যপাল পদে বসার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ আবার লিখেছেন, ‘এমন টুইট করেন কেন, যা পরে মুছতে হয় এবং সে জন্য ক্ষমা চাইতে হয়!’ কেউ লিখেছেন, ‘এমনটা আর করবেন না প্লিজ।’ কারও মন্তব্য, ‘এমনটা করে আপনি অটলজিকে অপমানই করেছেন।’ এই টুইট মুছতে তথাগতের কেন ১২ ঘণ্টা লাগল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ওই দিন রাত ৭টা ৫৩ মিনিটে তথাগত ওই টুইটটি করেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, সুমধুর বাগ্মী, ভারতীয় রাজনীতিতে ছয় দশকের উজ্জ্বল নক্ষত্র, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব হিসাবে যিনি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন, বুদ্ধিমান, রসবোধ সম্পন্ন এবং যাঁর মানবতাবোধ দৃষ্টান্তমূলক, সেই অটলবিহারী বাজপেয়ী মারা গিয়েছেন। ওম শান্তি।’’