ত্রিপুরা হাইকোর্ট

লগ্নি সংস্থার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ

ভুইফোঁড় অর্থ লগ্নি সংস্থা ‘রেসপন্স’-এর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে রিট আবেদন জমা দিয়েছিলেন এক আমানতকারী। সিবিআই তদন্ত নাকচ করলেও সেই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আজ রাজ্য সরকারকে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম) গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকারকে আজ হাইকোর্ট জানিয়েছে, যে সব লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে অথচ সিবিআইকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়নি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে সিট গঠন করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৫ ০৩:৪৮
Share:

ভুইফোঁড় অর্থ লগ্নি সংস্থা ‘রেসপন্স’-এর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে রিট আবেদন জমা দিয়েছিলেন এক আমানতকারী। সিবিআই তদন্ত নাকচ করলেও সেই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আজ রাজ্য সরকারকে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম) গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকারকে আজ হাইকোর্ট জানিয়েছে, যে সব লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে অথচ সিবিআইকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়নি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে সিট গঠন করতে হবে।

Advertisement

আজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্ত জানান, প্রতিটি মামলার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করাতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। রাজ্য পুলিশও দায়িত্ব নিয়ে তদন্ত করতে পারে। আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। সিবিআইকে দেওয়া মামলাগুলি বাদে বাকি সব ক’টি বেসরকারি লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে এই বিশেষ তদন্তকারী দল। ত্রিপুরা হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ ঘোষ জানান, “এই বিশেষ তদন্তকারী সংস্থার নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।”

সারদা-কাণ্ডের কিছু দিনের মধ্যেই রাজ্যের ৩৭টি বেসরকারি লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল ত্রিপুরা সরকার। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই রোজভ্যালি-সহ ছ’টি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। ত্রিপুরায় ১১৭টি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থা কাজ করত। তার মধ্যে ১১৫টি সংস্থাই পাততাড়ি গুটিয়ে চলে গিয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে মোট ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলার থানাতে। সেগুলির তদন্তের বিশেষ অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন বহু লগ্নিকারী। বেসরকারি লগ্নি সংস্থা ‘রেসপন্স’-এ টাকা রেখেছিলেন আগরতলার দীপ্তি দাস মজুমদার। সময়ে টাকা ফেরত না পাওয়ায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সংস্থাটির বিরুদ্ধে। গত দু’বছরে তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। তাই ক্ষুব্ধ আমানতকারী রাজ্য সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। সেই মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের এই নির্দেশ।

Advertisement

এ দিনই আরও আটটি সংস্থার উপরে বাজার থেকে টাকা তোলা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেবি। এ দিন সেবি জানিয়েছে, প্রায় ৮ হাজার আমানতকারীর কাছ থেকে মোট ১৩০ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছে এই সংস্থাগুলি। তাতে কোম্পানিজ অ্যাক্টের বেশ কয়েকটি বিধিভঙ্গ করা হয়েছে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন